শুভব্রত মুখার্জি- চলতি ওডিআই বিশ্বকাপের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। পরপর দুই ম্যাচে হারতে হয়েছিল তাদের। ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারার পরেই অবশ্য ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে তারা। এরপর পরপর সাতটি ম্যাচ জিতে তারা চলে গিয়েছে সেমিফাইনালে। সেমিফাইনালের আগেই নিশ্চিত হওয়ার ফলে শনিবার পুনেতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে অত বেশি গুরুত্ব ছিল না তাদের কাছে। কিন্তু সেই ম্যাচেও নয়া নজির করে ছাড়লেন তারা। পরপর দুই ম্যাচে ওডিআই বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বাধিক রান তাড়া করে জিতল অজিরা।
গত ম্যাচে কার্যত এক পায়ে খেলে যদি নায়ক হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, তো এদিনের ম্যাচের নায়ক নিঃসন্দেহে মিচেল মার্শ। আগের ম্যাচেই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ২৯২ রানের রেকর্ড লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে জিতেছিল অজিরা। ম্যাচে একাই অপরাজিত ২০১ রান করেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলে দলকে এনে দিয়েছিলেন এক অবিস্মরণীয় জয়। ঠিক তারপরের ম্যাচেই আজ পুনেতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিজেদের ওডিআই বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের নজির ভেঙে নয়া নজির গড়ল অজিরা। এদিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩০৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে জিতল তারা। এই ম্যাচে অজিদের হয়ে নিঃসন্দেহে নায়ক মিচেল মার্শ। ১৭৭ রানের এক অনবদ্য অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দিলেন তিনি।
ঘটনাচক্রে চলতি বিশ্বকাপে এটি মিচেল মার্শের দ্বিতীয় শতরান। এর আগে বেঙ্গালুরুতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি চলতি বিশ্বকাপে তাঁর প্রথম শতরান করেছিলেন। এ দিন পুনেতে বাংলাদেশ বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করে তাঁর দ্বিতীয় শতরানটি ও করে ফেললেন মার্শ। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১৭টি চার এবং নয়টি ছয়ে। ১৩৪.০৯ স্ট্রাইক রেটে এদিন ব্যাট করেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন স্টিভ স্মিথ। এর আগে ৫৩ রান করে দলের হয়ে শুরুতে ভিতটা গড়ে দেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৩০৭ রান তাড়া করতে গিয়ে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ৪৪.৪ ওভারেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।