শুভব্রত মুখার্জি: ফের একবার ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে চলে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া দল। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন দল টানা তিন ওডিআই বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলবে। চলতি বিশ্বকাপে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেছে অজি বাহিনী। তাদের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি ঠিকই, তবে প্রথম দু'টি ম্যাচে হারের পরে টানা সাত ম্যাচে জিতে তারা সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নিয়েছে। ১৬ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে সেমিফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের। এই ম্যাচে দলের জন্য নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন মিচেল স্টার্ক। আর এমন আবহেই অজি স্পিডস্টার নিশ্চিত করেছেন, তাঁর কাছে টেস্ট ক্রিকেট বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে পাশাপাশি পরের বিশ্বকাপে না খেললেও, এখনই ওয়ানডে থেকে যে তিনি অবসর নেবেন না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: রোহিতের মতো বিশ্ব ক্রিকেটে কেউ নেই- কোহলি, বাবরদের উপেক্ষা করে হিটম্যানে মজেছেন আক্রম
সোমবার কলকাতায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ার নিয়ে নিজের ভাবনা চিন্তার কথা জানিয়েছেন স্টার্ক। তাঁর মতে, ‘আমি এর (বিশ্বকাপের পরে ) পরেও খেলা চালিয়ে যেতে চাই। তবে কোনও সন্দেহ নেই যে, আমি পরের বিশ্বকাপে (ওডিআই) খেলতে পারব না। ওই বিশ্বকাপের জন্য আমার আলাদা কোনও ভাবনা নেই। চার বছর অনেক দীর্ঘ সময়। আমার কাছে টেস্ট ক্রিকেটই ক্রিকেট খেলার সর্বোচ্চ স্তর। টেস্ট ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার আগে বাকি সব ছেড়ে দেব। আমার জন্য (সেমিফাইনাল) আগামী ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আরও একটি একদিনের ম্যাচ। আমার জন্য ওয়ানডে ক্রিকেটের পথ এখানেই শেষ নয়, তা নিশ্চিত করে বলতে পারি।’
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে হলে কী হবে, নিউজিল্যান্ডকে কী অঙ্কে হারাবেন রোহিতরা?
বিশ্বকাপের পরেও মিচেল স্টার্ক যতদিন সম্ভব টেস্ট ক্রিকেটে খেলার লক্ষ্যে সাদা বলের ক্রিকেট থেকে আগে অবসর নেবেন, তা নিশ্চিত করে দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এখনও পর্যন্ত ১১৯ ওয়ানডেতে ২৩.১৭ গড়ে ২৩০ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক। ২০২৭ সালে পরের বিশ্বকাপে নিশ্চিত ভাবেই তিনি থাকবেন না। কারণ সেই সময়ে তাঁর বয়স হবে ৩৭। বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী ওয়ানডে সিরিজ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০১৫ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অজিরা। সেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে তিনি যৌথ ভাবে ওই আসরের সর্বোচ্চ ২২ উইকেট নিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে ২৭ টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এক বিশ্বকাপে যা সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড। এবার এখনও পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ৪৩.৯০ গড় এবং ওভার প্রতি ৬.৫৫ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন স্রেফ ১০টি।