চলতি ওডিআই বিশ্বকাপের একেবারে প্রথমদিকে, ভারতীয় ব্যাটিং যাকে নিয়ে সবথেকে বেশি চিন্তায় ছিল তিনি হলেন শ্রেয়স আইয়ার। প্রথমদিকের বেশ কিছু ম্যাচে শর্ট বলে আউট হতে হয়েছিল শ্রেয়সকে। চোট সারিয়ে এশিয়া কাপে দলে ফিরে আসার পর থেকে বিশ্বকাপের প্রথম কয়েকটি ম্যাচে একেবারেই রান পাচ্ছিলেন না শ্রেয়স। তবে গ্রুপ পর্বে ভারতের শেষ দিকের ম্যাচে ফর্মে ফেরেন শ্রেয়স। এই নিয়ে পরপর চারটি ৫০-এর ওপর রান হল তাঁর। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ভারতের শেষ গ্রুপ ম্যাচে শতরান হাঁকান তিনি। এরপরে সেমিফাইনালেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শতরান করেছেন তিনি।পরপর দুই শতরানে করে ফেলেছেন এক নয়া নজির।
ওডিআই বিশ্বকাপের এক সংস্করণে কোন এক দলের হয়ে ব্যাটিং অর্ডারে টপ তিনে ব্যাট না করা ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করে ফেলেছেন নাইট অধিনায়ক। প্রসঙ্গত শ্রেয়স আইয়ার প্রথম ব্যাটার যিনি ওই পজিশনে ব্যাট করে ৫০০ রান করারও নজির গড়ে ফেলেছেন তিনি। টপকে গিয়েছেন প্রাক্তন নিউজিল্যান্ড অলরাউন্ডার স্কট স্টাইরিশকে। পিছনে ফেলেছেন এবি ডিভিলিয়ার্সকেও। ২০০৬-০৭ সালে স্কট স্টাইরিশ করেছিলেন ৪৯৯ রান। তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা এবি ডিভিলিয়ার্স ২০১৪/১৫ সালে করেছিলেন ৪৮২ রান।
এদিন শ্রেয়স আইয়ার মাত্র ৭০ বলে করেছেন ১০৫ রান। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৪ টি চার এবং আটটি ছয়ে। ১৫০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে বিরাট কোহলিকে সঙ্গী করে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১৬৩ রানের জুটি। আজকের ম্যাচে বিরাট গড়েছেন এক অনবদ্য নজির। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সচিন তেন্ডুলকরকে টপকে গড়েছেন সর্বাধিক শতরান করার নজির। ১১৩ বলে ১১৭ রান করেছেন বিরাট কোহলি। এছাড়াও ওপেনার শুভমন গিল অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংস খেলেছেন। যদিও মাঝে ক্র্যাম্পের কারণে তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে ।না হলে হয়ত তিনি ও ভারতের হয়ে আরো একটি শতরান করে ফেলতেন।
ভারত ৫০ ওভারে করে চার উইকেটে ৩৯৭। রান তাড়া করতে গিয়ে ৩২৭ রানেই শেষ হয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রতিরোধ। ৭০ রানে ম্যাচ জিতে আমদাবাদে ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করে নিয়েছে ভারত। ম্যাচের শেষে আইয়ার জানান, যে অধিনায়ক ও কোচ যেরকম ভাবে বলেছেন, সেভাবেই তিনি খেলছেন। যেভাবে শুরুর কিছু ম্যাচে রান না পেলেও তাঁকে টিম ম্যানেজমেন্ট সুযোগ দিয়েছে, তার জন্যেও বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি। যেভাবে শ্রেয়স খেলছেন, ফাইনালেও যে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছেন তা বলাই বাহুল্য।