চেন্নাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১ উইকেটে হেরে যাওয়া ম্যাচে জিততেও পারত পাকিস্তান। তখন হয়তো সব হিসাবটাই বদলে যেত। কিন্তু আম্পায়ার্স কলে প্রাণ ফিরে পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কপাল পোড়ে পাকিস্তানের।
রান তাড়া করতে নেমে প্রোটিয়া ইনিংসের ৪৬তম ওভারে হ্যারিস রউফের শেষ বলটি তাবরেজ শামসির প্যাডে লেগেছিল। পাকিস্তান এলবিডব্লুর আবেদন করলে, তাতে সাড়া দেননি ফিল্ড আম্পায়ার ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স ওয়ার্ফ। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ উইকেট ফেলতে মরিয়া পাকিস্তান রিভিউ নেয়। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখায়, রউফের ইন সুইং লেগ স্টাম্প ছুঁয়ে গেলেও সেটি মাঠের সিদ্ধান্ত বদলানোর জন্য যথেষ্ট নয়। আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান শামসি। তাবরেজ সেই সময় আউট হলে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৬৩ রানে অল-আউট হয়ে যেত। ম্যাচ জিতে যেত পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৯ উইকেটে ২৭১ রান তুলে ম্যাচ পকেটে পোড়ে প্রোটিয়ারা।
আরও পড়ুন: এখনও সেমিফাইনালে উঠতে পারে পাকিস্তান, দেখে নিন কোন সমীকরণে
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিততে না পারায় পাকিস্তানের সেমিফাইনালের আশাও কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছে। এর জন্য ডিআরএসের ভূমিকা কতটা ছিল? ম্যাচ শেষে পাক অধিনায়ক বাবর আজমকে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি অবশ্য বিষয়টি নিয়ে বিতর্কে জড়াতে চাননি। ক্রিকেটের আইনের বাইরে কিছু হয়নি বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পুরো ঘটনাটি। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত যদি আলাদা হত, তবে তাঁর দল লাভবান হত। বাবর অবশ্য বলছেন, ‘ডিআরএস খেলারই অংশ। তবে ওটা যদি (আম্পায়ার) আউট দিতেন, সেটা আমাদের পক্ষে যেত। আম্পায়ার্স কল যেটা হয়ে গিয়েছে, সেটা খেলারই অংশ।’
আরও পড়ুন: শাদাব চোট পাওয়ায় পাকিস্তানকে নিতে হল কনকানশন পরিবর্ত, ২০২৩ বিশ্বকাপে হল ইতিহাস
শুধু আম্পায়ারের শেষের ওই সিদ্ধান্ত নয়, পাকিস্তান জিততে পারত স্কোরবোর্ডে আর কিছু রান বেশি থাকলেও। ম্যাচ শেষে এই নিয়ে আক্ষেপ শোনা গেল বাবরের গলায়। তিনি বলেন, ‘(জয়ের) খুবই কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু শেষটা ভালো করতে পারিনি। পুরো দলই হতাশ। আমরা লড়াই করে ম্যাচে ফিরেছি। কিন্তু ১০–১৫ রান কম হয়ে গিয়েছে। এর পর ফাস্ট বোলার ও স্পিনাররা লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনলেও দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ম্যাচের ফল আমাদের পক্ষে আসেনি।’
ছয় ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তান এখন ১০ দলের মধ্যে ৬ নম্বরে রয়েছে। পরের তিন ম্যাচে জিতলেও শেষ চারে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা নেই। নির্ভর করতে হবে অন্য দলের ফলাফলের উপর। সেটা জানেন বলেই বাবরের প্রত্যাশা এখন শেষটা ভালো করা, ‘শেষ তিন ম্যাচে নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এর পর দেখা যাবে কী দাঁড়ায়।’ লিগ পর্বে পাকিস্তানের শেষ তিন ম্যাচের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের ম্যাচ ৩১ অক্টোবর, কলকাতায়।