রাত পোহালেই রাজ্য জুড়ে পুরসভা নির্বাচন। ভোট শান্তির আবহে হবে নাকি সন্ত্রাসের সেই পুরানো ছবি ফিরবে এবারের পুরভোটে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা চর্চা চলছে। ভোটের ঠিক আগের দিনে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন যেদিন থেকে ঘোষণা হয়েছে সেদিন থেকেই সন্ত্রাস চলছে। পরশু রাত পর্যন্ত আমাদের ছুটতে হয়েছে। আমরা সকলকেই বলছি সংঘবদ্ধভাবে থাকুন। যারা সন্ত্রাস করে তারা কাপুরুষ। আপনাদের লড়াইয়ে আমরা আছি। আপানারা ভীত হবেন না। রাজ্যের কাছে আমাদের আবেদন পুরনির্বাচন শান্তিপূর্ণ হোক। আমাদের ফলাফল ভালো হওয়ার আশা করছি। তবে এসডিও তৃণমূল নেতার মতো আচরণ করেছেন। তৃণমূল জাগো বাংলায় যা বলছে তা বাস্তবে প্রয়োগ করা হোক। এত ফারাক কেন? তৃণমূল পার্টিগতভাবে নির্দেশ দিক, সন্ত্রাস ছেড়ে গণতান্ত্রিকভাবে জাগো। তাহলে ভালো হবে।’ দাবি অধীর চৌধুরীর।
অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আনিস খানের পরিবারের পাশে বাংলার ছাত্র যুবরা, বাংলার গণসমাজ আছে। আমাদের দাবি কর্মরত বিচারককে দিয়ে এই তদন্ত করা হোক। স্থানীয় পুলিশের উপর ভরসা নেই। কেন সরকার আনিস খানের হত্য়ার তদন্তে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এটা মানুষের কাছে বড় প্রশ্ন। রিজওয়ান কাণ্ড আর আনিস খানের কাণ্ড। দুটি ঘটনায় তৃণমূলের ভূমিকার ফারাক দেখুন সেটা বুঝতে পারবেন। সরকার এই ব্যাপারে দৃঢ়তা দেখাতে পারছে না কেন? এত দেরি হচ্ছে কেন? কেন ওই বেকার যুবককে মেরে দেওয়া হল?’ প্রশ্ন অধীর চৌধুরীর।