বজবজ, সাঁইথিয়ার পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দিনহাটা পুরসভা দখল নিল তৃণমূল। ১৬ আসনবিশিষ্ট এই পুরসভায় বুধবার ৭টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পায় তৃণমূল। বৃহস্পতিবার প্রথমে ৫টি ও পরে বাকি ওয়ার্ডও বিরোধীশূন্য হতে থাকে । ফলে দিনহাটা পুরসভা যে তৃণমূলের দখলেই, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দিনহাটা পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে গত বুধবার যে সাতটি ওয়ার্ড বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের দখলে চলে এসেছিল, সেগুলি হল, ১,৩,৯,১২,১৩,১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে ৫টি ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে চলে আসে। এবারে দিনহাটা পুরসভার চারটি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেয় সিপিএম। কিন্তু সেই চারটি ওয়ার্ডের স্ক্রুটিনিতে হলফনামা না থাকায় সিপিএম প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। সেই পাঁচটি ওয়ার্ড হল ২,৪,৫,৭ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড। বাকি ওয়ার্ডগুলোতে বিরোধী প্রার্থীদের প্রস্তাবকের স্বাক্ষর না থাকায় সেসব মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। এরপরই আবির খেলায় মেতে ওঠেন তৃণমূল কর্মী–সমর্থকরা।
এর আগে গত বুধবার বিজেপির তরফে শীতলকুচির বিধায়ক মিহির গোস্বামী ৮ জন প্রার্থীকে নিয়ে মহকুমাশাসকের অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। সেখানে এলাকার বিধায়ক উদয়ন গুহের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ ওঠে। মনোনয়নপত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিনহাটা। ৮ জনের মধ্যে ৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েই কোচবিহারে ফিরে আসেন। পরে আরও তিন জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, মিহির গোস্বামীকে ডিম, ঢিল ছোড়া হয়। যত অন্ধকার ঘনিয়ে আসবে, গণতন্ত্র তত উজ্জীবিত হবে। অন্যদিকে বামেদের তরফে জানানো হয়, আমরা যেমন প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিলাম, তেমনি জনগণের কাছে আবেদন রাখব, যেন তাঁরাও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। এদিকে বিধায়ক উদয়ন গুহ জানিয়েছেন, এখানে ফরওয়ার্ড ব্লক চায়নি, সিপিএম প্রার্থী দিক। পাল্টা সিপিএম তাই চেয়েছিল। বিজেপির তো শক্তি নেই। কোমর পড়ে গিয়েছে। টার্গেট রয়েছে ১৬–০ করার। তাই–ই হবে।