পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। বিক্ষুব্ধরা নির্দল হিসেবে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন বহু জায়গায়। গোঁজ প্রার্থীদের নরমে-গরমে মনোয়ন ফেরাতে বলেছে দল। এই আবহে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসেরও অভিযোগ উঠেছে বহু জায়গায়। অভিযোগ, নির্দল ও বিরোধী প্রার্থীদের হুমকি দিয়ে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করছে শাসকদল। তবে বসিরহাটে দেখা গেল উলটো চিত্র। অভিযোগ, বসিরহাটের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থীর হামলায় মাথা ফেটেছে তৃণমূল নেতার।
জানা গিয়েছে, বসিরহাটের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। স্থানীয় তৃণমূল নেতা আসাদ-উল সরদার দলীয় প্রার্থীর হয়ে এদিন প্রচারে নেমেছিলেন। সেই সময়ই তৃণমূলের মিছিলে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির সেই ওয়ার্ডেরই নির্দল প্রার্থী কাসেম গাজীর দিকে। ঘটনায় গুরুতর ভাবে জখম হয়ে বাদুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আসাদ।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বাদুড়িয়ার বিধায়ক আবদুর রহিম দিলু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বাদুড়িয়া অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় এলাকা। এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কেউ যদি অশান্তির চেষ্টা করেন তাহলে মোটেই তার জন্য ভালো হবে না। প্রশাসন এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
এর আগে পুরভোটে তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থীরা ভোটের ময়দান থেকে সরে না দাঁড়ালে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। এরপরও বহু নির্দল প্রার্থী মনোয়ন না ফেরত নেওয়া দল থেকে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে। মমতা অবশ্য জানিয়ে দেন, বহিষ্কৃতরা নির্বাচনে জিতলেও তাদের দলে ফেরানো হবে না। তবে দলনেত্রীর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও তৃণমূলের গলা থেকে নির্দল কাঁটা নামছে না।