পুরভোটে প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষ ঘিরে তৃণমূলের হাত ছাড়তে পারে আইপ্যাক? এমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে। জানা গিয়েছে, দলের কর্মকাণ্ডে আইপ্যাকের হস্তক্ষেপ এবং প্রার্থী বাছাই নিয়ে অসন্তোষের জেরে চিড় ধরেছে তৃণমূল-আইপ্যাক সম্পর্কে। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, পরামর্শদাতা সংস্থার বাড়বাড়ন্তেই দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। এই বিষয়ে তৃণমূলের হেভিওয়েট বর্ষীয়ান নেতারা মমতার কাছে এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। এই নিয়ে নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এসএমএস বিনিময় হয়েছে বেশ কয়েকজন নেতার। মেসেজ বিনিময় হয়েছে মমতা-পিকেরও। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে বাংলায় ভবিষ্যতে কাজ করা নিয়ে অনীহা প্রকাশ করেছেন প্রশান্ত কিশোর। প্রশ্ন উঠছে, কার নির্দেশে প্রার্থী তালিকা বদল হল?
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নিজে আইপ্যাকে সন্তুষ্ট নন, গত কয়েকদিনে তাও অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে। প্রার্থী বাছাইয়ের মতো দলের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে যাতে বাইরের সংস্থা হস্তক্ষেপ না করে, সেই দাবি উঠেছে দলের অন্দরে। এদিকে সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতাদের দাবিকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিকে কয়েকদিন আগেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথা কাটাকাটির কথা প্রকাশ্যে আসে। আর সূত্রের খবর, সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও প্রশান্ত কিশোরের প্রার্থী তালিকা নিয়ে মনোমালিন্য হয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলের অন্দরে অসন্তোষ তৈরি হতেই প্রশান্ত কিশোর মমতাকে মেসেজ করে জানান, ‘বাংলা, ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করবে না আই প্যাক।’সূত্রের খবর, এই মেসেজের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী প্রশান্ত কিশোরকে উত্তর দেন, ‘থ্যাঙ্ক ইউ।’ এরপর থেকেই তুঙ্গে তৃনমুল-আই প্যাক বিচ্ছেদের জল্পনা। উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগেও বহু নেতা আইপ্যাকের হস্তক্ষেপে বিরক্ত হয়ে তৃণমূল ছেড়েছিলেন। তবে তখন বিষয়টিকে ক্ষমতার লোভ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। তবে বিপুল সংখ্যক আসন পেয়ে সরকার গঠনের একবছর যেতে না যেতেই দলে যেভাবে অন্তর্কলহ দেখা দিয়েছে তাতে অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই আবহে এবার আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূল সম্পর্ক ছিন্ন করার পথে হাঁটবে কিনা, সেদিকে নজর সবার।