পুরসভা নির্বাচন শুরু হতেই শাসক–বিরোধী অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য–রাজনীতি। পুলিশের কাজে খুশি নয় শাসক–বিরোধী দু’পক্ষই। এবার এই ইস্যুতে ভোটের বাজারে হুঁশিয়ারি দিয়ে বসলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। রবিবার তাঁর সরাসরি অভিযোগ, পুলিশ বেছে বেছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মারছে। তাঁদের উপর আক্রমণ করছে। এই মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন মদন মিত্র? পুরসভা নির্বাচনকে ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কামারহাটি অঞ্চলের একাধিক জায়গা। এই বিষয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘সবাই জানে সরকার যার পুলিশ তার। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা গেল পুরসভা নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মারধর করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বিনা অপরাধে গ্রেফতার করেছে বেশ কয়েকজনকে। আমরা যদি মনে করি ৫ মিনিটে ভোট শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই এই কাজ করব না। নির্বাচন কমিশনে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবো।’
মদন মিত্রের এই হুঁশিয়ারি কার্যত সেমসাইড গোল বলে মনে করা হচ্ছে। শাসকদলের বিধায়কই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। এটা সচরাচর দেখা যায় না। সেখানে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘পুলিশ বিজেপির হয়ে কাজ করছে। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বেছে বেছে আক্রমণ করছে। পুলিশ যদি সময়মতো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে মদন মিত্র নিজে নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে নামবে।’
কামারহাটির প্রার্থী তালিকা নিয়েও তাঁকে দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছিল। স্বয়ং তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন মদন। এবার পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন। তিনি বলেন, ‘ভোট শতাংশ অনেক কম রয়েছে। তার কারণ হল পুলিশ। পুলিশ নিরপেক্ষ থাকুক। নির্বাচন কমিশন কোনও কাজ করছে না। খালি বলছে দেখছি! আমাদের যা সমর্থন রয়েছে আমরা এমনই জিতব। কিন্তু আমাদের ধরে ধরে মারছে। আমার বহু কর্মী মার খাচ্ছে। তারা কি পদ্মরত্ন পাওয়ার জন্য এই সব করছে?’