নানা অছিলায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধী প্রার্থীদের ধরপাকড় জারি রইল রাজ্যে। পুরুল্যার আদ্রায় তৃণমূলের শহর সভাপতি খুনে কংগ্রেস প্রার্থীর পর এবার পূর্ব বর্ধমানের আদড়াহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় হালদার ওরফে দুকুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, ফেসবুকে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ সম্পর্কে কুরুচিকর অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁকে ২ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আরও পড়ুন: ‘চোর–জোচ্চোর–দাঙ্গাবাজের এবার রেহাই নাই’, তৃণমূল–বিজেপিকে নিয়ে প্যারোডি সিপিএমের
বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন সায়নী। অভিযোগ, তার পরই তাঁর নামে ফেসবুকে কুরুচিকর মন্তব্য করেন সঞ্জয়বাবু। বিষয়টি অশোক বাগদি নামে এক তৃণমূলকর্মীর নজরে এলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। এর পর তাঁকে গ্রেফতার করে শুক্রবার বর্ধমান আদালতে পেশ করে করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ৫০৫ (২) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আদালতে সরকারি আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, অভিযুক্তকে জামিন দিলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি হতে পারে। পালটা সঞ্জয়বাবুর আইনজীবী বলেন, অভিযোগ ভুয়ো। এর পর তাঁকে ২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
এই গ্রেফতারির প্রতিবাদ করে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, জেলায় পঞ্চায়েতে বিরোধী প্রার্থীদের হয়রান করতে নতুন নতুন ফন্দি বার করছে তৃণমূল ও পুলিশ। তেমনই পরিকল্পনা করে বিজেপি প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রার্থীকে এলাকা থেকে দূরে রাখতে পারলে তৃণমূলের বুথ দখল করা সহজ হবে। কিন্তু বিজেপি এবার তা হতে দেবে না।
পালটা তৃণমূলের বয়ান, মহিলা নেত্রীর সম্পর্কে কুরুচিকর পোস্টের প্রতিবাদ করে স্থানীয় মানুষই পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নেই। জনসমর্থন নেই বুঝে হতাশায় বিজেপি কুরুচিকর আক্রমণ করতে শুরু করেছে।