কোচিং সেন্টারে চলত নাবালিকা ছাত্রীদের যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণ। তাই নিয়ে বিবাদের জেরেই পরিচিত যুবকের হাতে খুন হয়েছেন শম্ভু দাস। কোচবিহারের দিনহাটায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে খুনের ঘটনায় এই দাবি করলেন জেলা পুলিশ সুপার। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
গত ১৭ জুন রাতে কোচবিহারের কিসমত দশগ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী বিশাখা দাসের দেওর শম্ভূকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পাট খেত থেকে উদ্ধার হয় তাঁর রক্তাক্ত দেহ। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের দিকে। তবে স্থানীয় বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ দাবি করেছিলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রবিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন জেলার পুলিশ সুপার সানি রাজ। তিনি জানান, শম্ভূ এলাকায় একটি কোচিং সেন্টার চালাত। সেখানে নাবালিকা ছাত্রীদের যৌন হেনস্থা করত শম্ভূ। এই কাজে তার শম্ভূর সঙ্গী ছিল তাঁকে খুনে অভিযুক্ত যুবক। ঘটনার রাতে শম্ভূ ও অভিযুক্ত যুবক গ্রামের পাটক্ষেতে মদ্যপান করছিল। তখনও তাদের সঙ্গে ছিল এক নাবালিকা ছাত্রী। মদ্যপানের সময় বিবাদ থেকে অভিযুক্ত শম্ভূকে কুপিয়ে খুন করে। নাবালিকার সামনেই ঘটে খুনের ঘটনা।
তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পর নাবালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সে ঘটনার কথা স্বীকার করে। এর পর জানা যায়, শম্ভূ ও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোচিং সেন্টারে একাধিক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এমনকী থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে এক নাবালিকার অভিভাবকরা। সেই নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এর পর শম্ভূ ও ওই যুবকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি, শম্ভূর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ গর্ভনিরোধক বড়ি উদ্ধার হয়েছে। ধর্ষণের পর নাবালিকাদের এই বড়ি খাওয়ানো হত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।