পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে একদিকে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছে বিজেপির ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং টিম। আর এবার নন্দীগ্রামে পালটা গেল তৃণমূলের টিম। আর সেই টিমে নেতৃত্বে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। শুভেন্দুর খাসতালুকে দাঁড়িয়ে বিজেপি কর্মীদের শায়েস্তা করতে পুলিশকে রীতিমতো নির্দেশ দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ ভোট পরবর্তী ক্ষেত্রে নন্দীগ্রামের ব্যাপক সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপি। নন্দীগ্রামে অন্তত ১৪ জন তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছেন। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তারা। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন এসএসকেএম এ গিয়ে সেই তৃণমূল কর্মীদের দেখে আসেন। এরপরই তিনি বিজেপিকে নিশানা করে কার্যতে বিচার ব্যবস্থার একাংশ কে নিশানা করে একের পর এক তোপ দাগেন।
অন্যদিকে গোটা বাংলা জুড়ে সন্ত্রাসের অভিযোগে যখন একের পর এক বিদ্ধ হচ্ছে তৃণমূল, তখনই সেই সন্ত্রাসের পাল্টা অভিযোগ বিজেপি বিরুদ্ধে তুলে বাজার গরম করার মরিয়া চেষ্টা চালালো ঘাসফুল শিবির।
তৃণমূল নেতৃত্বে দাবি নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া সোনাচুরা, গোকুলনগর সহ একাধিক এলাকায় তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। এদিন তৃণমূলের টিম গিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। ঠিক কি ধরনের অভিযোগ তাদের রয়েছে সেগুলি জানার চেষ্টা করেন তারা। সেখানে নন্দীগ্রাম থানার পদস্থ আধিকারিকদেরও দেখা যায়। এরপরই তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ তৃণমূল কর্মীদের পরামর্শ দেন নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ পুলিশের কাছে করার জন্য। পাশাপাশি পুলিশকে সামনে রেখে তিনি বলেন, সাহেব ছুটিতে ছিলেন, ফিরেছেন। এবার থানায় ফিরে অভিযোগগুলো দেখে নেবেন। এর অ্য়ারেস্ট চাই। এগুলো কিন্তু দেখছি দেখব হবে না। কুণালের কথা শুনে ঘাড় নাড়েন পুলিশকর্তা।
এদিন তৃণমূলের এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, দলের জেলা সভাপতি সৌমেন কুমার মহাপাত্র, দলের যুব সভাপতি আজগর আলি সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন ভিড়ের মধ্য়ে থেকে এক তৃণমূল কর্মী শুভেন্দু অধিকারীর নাম উচ্চারণ করতেই উল্লসিত হয়ে ওঠেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কার্যত যাবতীয় অভিযোগের নিশানা শুভেন্দুর দিকে ঘুরিয়ে দিতে তৎপর তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে বিজেপি নেতৃত্ব সন্ত্রাসের অভিযোগ মানতে চাননি। এদিকে সূত্রের খবর, এলাকায় তৃণমূল নেতৃত্ব যাওয়ার পর থেকেই তৎপর হয়েছে পুলিশ।