পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে আবার বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হল একজনের। তবে ঘটনাস্থল সেই মুর্শিদাবাদ। এবার বেলডাঙায় বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে। আবার বীরভূমের মাড়গ্রামে বোমা বাঁধার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে জোট প্রার্থীকে। এমনকী একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও চারজনকে। পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার করা হয়েছে বোমা এবং মশলাও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এই দুটি ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে জেলায়। এখন কেন্দ্রীয় বাহিনী গ্রামে টহল দিচ্ছে। তার মধ্যেই এমন ঘটনায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা।
এদিকে আজ শনিবার সকালে বেলডাঙায় পাটের জমিতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। তখনই বোমা ফেটে গিয়ে গুরুতর আহত হন আলিম বিশ্বাস নামের এক যুবক। তাঁকে তড়িঘড়ি বেলডাঙা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচনে অশান্তি করতে তৃণমূলের লোকজনই বোমা বাঁধার কাজ করছিল। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বরং পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছে, আইন আইনের পথে চলবে।
অন্যদিকে বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার হাসন কেন্দ্রের ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জোট প্রার্থীর সঙ্গে মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কারণ সেখান থেকে দু’ ড্রাম ভর্তি বোমা, বোমা তৈরির মশলা, লোহার ছাঁট–সহ নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই গ্রামে একটি বাড়ির ভিতর বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। তখন সেখানে অভিযান চালিয়ে বাড়ির মালিক–সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাড়িটি সিল করা হয়েছে। এখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় বাম–কংগ্রেসের জোটপ্রার্থী ওয়াসিক শেখ ওরফে চমৎকার শেখকে। আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাতে বোমা সমেত বমাল ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের কি দফা বাড়বে? শুভেন্দু মামলার পর ওয়ান লাইনার কমিশনারের
আর কী জানা যাচ্ছে? ধৃতদের নাম গিয়াসুদ্দিন শেখ, ডিউক শেখ এবং আনারুল শেখ। এই বিষয়ে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা গ্রেফতার করেছি অপরাধীদের। আর কোথায় বোমা মজুত করা রয়েছে সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা জুড়ে আমাদের তল্লাশি অভিযান চলছে।’ পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা বাড়ির ছাদে বসে মদ্যপান করছিল আর বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সহ–সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এখন এক হয়েছে। তাই তারা ভোটে বোমা–বারুদের ব্যবহার করে জেতার চেষ্টা করছে।’ যদিও কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মিল্টন শেখ পাল্টা বলেন, ‘হেরে যাওয়ার ভয়ে মিথ্যা মামলায় আমাদের কর্মীকে ফাঁসানো হয়েছে।’