আজ, শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে যান রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আর সেখানেই দলীয় কর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। দলের পুরনো কর্মীরা কুণালকে ঘিরে ধরে জানান, এখন দলের নেতারা কর্মসূচির কোনও খবর দেন না। এই অভিযোগ শুনেই ব্যবস্থা নিলেন তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক। দলীয় নেতৃত্বকে ডেকে একেবারে সামনাসামনি কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে দেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে পুরনো কর্মীদের ডেকে নতুনদের সঙ্গে এভাবেই মিলিয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ।
এদিকে সবাই প্রথমে ভেবেছিলেন এবার কুণাল ঘোষ বিক্ষোভের মুখে পড়বেন। কিন্তু কুণাল প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সবাইকে কাছে ডেকে নিলেন। অনুরোধ করলেন সভায় যোগ দেওয়ার জন্য। তখন সবাই সেই সভায় উপস্থিত হন। আর মঞ্চ থেকে কুণাল ঘোষ বার্তা দিয়ে বলেন, ‘দলের পুরনো দিনের কর্মীরা আমাকে ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। তাঁদের ক্ষোভ একেবারেই সঙ্গত। যাঁরা দলকে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁদের একটা দায়িত্ব রয়েছে সবাইকে কর্মসূচির খবর দেওয়ার।’ এভাবে পুরনো–নতুন নেতাদের তিনি মিলিয়ে দেন। আর তারপর এলাকায় হেঁটে জনসংযোগ করেন।
অন্যদিকে কুণাল এদিন ময়নার স্থানীয় নেতৃত্বের ত্রুটি নিয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলেন। সমস্যা যে একটা আছে সেটা তিনি উপলব্ধি করেন। আর তারপরই কর্মীদের তিনি বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ হয়েই পঞ্চায়েত নির্বাচন লড়তে হবে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই ময়না কেন্দ্র জিতেছিল বিজেপি। এখানকার বিধায়ক বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক দিন্দা। তাই এই মাটিতে পুরনোদের গুরুত্ব না দিলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানো মুশকিল।’ তারপর পুরনো ও নতুনদের ডেকে একসঙ্গে কাজ করতে বলে সমস্যা মিটিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: ‘সব চাইতে বড় গুন্ডা দিলীপ ঘোষ’, চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন সওকত মোল্লা
আর কী জানা যাচ্ছে? বেশ কিছু পুরনো কর্মীদের অভিযোগ, এখানে প্রার্থী নিয়ে সমস্যা রয়েছে। দীর্ঘদিন দলের হয়ে খেটে প্রার্থী হওয়ার সুবিধা মেলেনি। এখন দলের বৈঠক বা সভায় ডাক পান না। এই অভিযোগ শুনে কুণাল ঘোষ নেতা–নেত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। আর ক্ষুব্ধ কর্মীদের তিনি বলেন, ‘আমি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বললাম। হ্যাঁ, এটা ওদের দোষ। কেন পুরনোদের ডাকা হবে না?’ সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস একটা পরিবার। এই বড় পরিবারে কিছু সমস্যা দেখা দিতেই পারে। সেটা বসে মিটিয়ে নিতে হবে বলেও বার্তা দেন তিনি। পুরনো কর্মীদের অভিমান ভাঙিয়ে তাঁদের নিয়েই জনসংযোগ শুরু করেন। নতুনরাও সঙ্গ দেন।