শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয় গ্রামবাংলা দখলের লড়াই। তবে নির্বাচনী এই লড়াই ঘিরে উত্তেজনা রাজ্য জুড়ে। উত্তর থেকে দক্ষিণে একাধিক হিংসাত্মক ঘটনায় গতরাত থেকে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। এই কিছুক্ষণ আগেই হেমতাবাদ থেকে উদ্ধার হল এক তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ। এর আগে চাকুলিয়ায় কুপিয়ে খুন করা হয়েছে তৃণমূল প্রার্থী মহম্মদ শাহেনশাকে। এর আগে আজ সকালে ভোট দিতে যাওয়ার সময় ১০-১১ জন তৃণমূল কর্মীর ওপর চড়াও হয় কংগ্রেস সমর্থিত দুষ্কৃতীরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ চালানো হয় তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে। সেই হামলাতেই মৃত্যু হয়েছে হামজাদ আলী হালসানার। এদিকে আজ বেলার দিকে বাসন্তী, কাটোয়া, লালগোলায় মৃত্যু হয় আরও তিন রাজনৈতিক কর্মীর। জানা গিয়েছে, বাসন্তীতে খুন তৃণমূল কর্মী আনিসুল ওস্তাগর। এদিকে লালগোলায় বুথে সংঘর্ষ হয় বাম-তৃণমূলের। সেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় বাম সমর্থক রওশন আলির। অপরদিকে কাটোয়ায় খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী গৌতম রায়। অভিযোগ, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলার নেপথ্যে। এদিকে লালগোলাতে এক বাম কর্মীর মৃত্যু হয় দুষ্কৃতীদের হামলায়। (পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় খবর এবং লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে)
এদিকে কোচবিহারের ফলিমারিতে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে খুনের অভিযোগ। নিহতের নাম মাধব বিশ্বাস। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে খুন করে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। এদিকে কোচবিহারের দিনহাটায় আরও এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। ভোটের লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় তাঁর ওপর হামলা হয়েছে। অন্যদিকে রেজিনগর, তুফানগঞ্জ এবং খড়গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের খুন করার অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগর থানার অন্তর্গত নাজিরপুর এলাকায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূল কর্মীর। মৃতের নাম ইয়াসিন শেখ। দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ইয়াসিনের। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানার অন্তর্গত কাপাসডাঙা ষষ্ঠীতলা এলাকায় বাবর আলি নামক এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামেও একটি ফাঁকা জমি থেকে তৃণমূল কর্মী সাবিরুদ্দিন শেখের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে অপর এক ঘটনায় মালদার মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক তৃণমূলের কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সংঘর্ষের ঘটনায় জখম হয়েছেন আট জন। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় নিহতের নাম শেখ মালেক। তিনি তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ নাসিরের কাকা। সংঘর্ষর ঘটনায় পায়ে গুলি লেগে আহত হয়েছেন নাসির। এই নিয়ে মনোনয়ন পর্ব শুরুর পর থেকে রাজ্যে পঞ্চায়েত হিংসার বলি হয়েছেন মোট ৩৩ জন।