রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠানো নিয়ে প্রশ্নের মুখে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ওনাকে আমিই নিয়োগ করেছিলাম। কিন্তু তিনি বাংলার মানুষকে হতাশ করেছেন।’
বুধবার রাতে জানা যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছেন রাজ্যপাল। এর পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। রাজভবন সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার নির্বাচন কমিশনারকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তিনি রাজভবনে হাজির হননি। এর জেরেই তাঁর জয়েনিং রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের ফলে সাংবিধানিক জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন আইনজ্ঞদের একাংশ।
গত ৬ জুন রাজ্যপালের সম্মতিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে বসেন রাজীব কুমার। তার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে তিনি নির্বাচন ঘোষণা করেন। ৮ জুন থেকে শুরু হয় মনোনয়ন। আর মনোনয়ন শুরু হতেই জেলায় জেলায় পাল্লা দিয়ে শুরু হয় হিংসা।
এর মধ্যে আধাসেনা মোতায়েন করে ভোটের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। হাইকোর্ট আধাসেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিলে তাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য ও নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করেনি। এর পর গত মঙ্গলবার রাজ্যে জেলা পিছু ১ কোম্পানি করে বাহিনী চেয়ে পাঠায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এর পর কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার রাজ্যে ২০১৩ সালের নির্বাচনের থেকে বেশি আধাসেনা মোতায়েন করতে হবে বলে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।