বৃহস্পতিহারই শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব। মনোনয়ন পেশের শেষ দু'দিনে ছক্কা হাকায় শাসকদল। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ না হওয়ায় দেরিতে মনোনয়ন পেশ করার কাজ শুরু করে তৃণমূল। তবে বহু জায়গাতেই ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। এই সবের মাঝেই এবার দলীয় প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন তৃণমূলেরই চার বিধায়ক। চার বিধায়কই মুর্শিদাবাদের। জানা গিয়েছে, দলের প্রার্থী বাছাই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী, জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক এবং নওদার বিধায়ক সাহিনা মমতাজ। জানা গিয়েছে, এই চার বিধায়কই গতকাল বেলডাঙায় একসঙ্গে বসে বৈঠক করেন। সেখানেই প্রার্থী নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন চার বিধায়ক।
এই নিয়ে রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, 'আমার কাছে যে তালিকা ছিল, সেই মতো মনোনয়ন জমা না পড়লে আমি ভোটে যোগ দেব না। অবশ্য যদি প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে একতরফা ভোট হলে আমার কিছু বলার নেই। তবে এটা বলতে পারি যে, প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ভোট হলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এর ফল ভুগতে হবে দলকে।' এদিকে হুয়ায়ুন কবীর সরাসরি নির্দল প্রার্থীদের পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, 'আমার কাছে যে তালিকা ছিল, সেই অনুযায়ী সব প্রার্থীরাই মনোনয়ন পেশ করেছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আবেদন, কেউ প্রার্থী না পেলে নির্দল হয়েই লড়ুক। লড়াই হোক বন্দুত্বপূর্ণ।' এদিকে কেন এই চার বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিতর্ক?
এই প্রসঙ্গে বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শাওনি সিংহ রায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'এই চার বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের তালিকা কে দেবেন, সেটা নিয়েই দ্বন্দ্ব ছিল। ব্লক সভাপতি নাকি বিধায়কের তালিকা অনুযায়ী প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে সমস্যা ছিল। শেষে দল সব তালিকায় মিলিয়ে প্রার্থী তালিকা দিয়েছে। এছাড়া অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বুথ সভাপতি, ব্লক সভাপতিদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেছেন। সেই কথা মাথায় রেখেই প্রার্থী তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু মতবিরোধ থাকতে পারে। বড় দলে এমনটা হতেই পারে।' এদিকে রবিউলের অভিযোগ, দলীয় প্রার্থী তালিকার ৮৭ শতাংশই ব্লক সভাপতির কথা মতো দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাকেরও অভিযোগ, যোগ্যদের প্রার্থী করা হয়নি।