ভোট শেষ হতেই দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দিল্লি সফর শেষে আজ সকাল সকাল কলকাতায় এসে পৌঁছে যান বোস। আর সকাল আটটা নাগাদ বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই হিংসার বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যপাল। সঙ্গে সঙ্গে তিনি 'রিমোট কন্ট্রোল' ধরে থাকা রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথাও বলেন। এদিকে রাজ্যপালের দিল্লি সফর ঘিরে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। এদিকে আজও রাজ্যপাল বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শনে যেতে পারেন বলে দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন রিপোর্টে। (পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল সংক্রান্ত যাবতীয় খবর এবং লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে)
এদিকে আজ বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘বাংলায় ক্রমবর্ধমান সহিংসতার বিরুদ্ধে নিরলস লড়াই চলবে। গুন্ডা ও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সমস্ত কর্তৃপক্ষের শক্তিশালী হাত উঠবে... যারা হিংসা ছড়াচ্ছে এবং কন্ট্রোল রুমে বসে যে রাজনীতিকরা রিমোট চালিয়ে এই হিংসায় উস্কানি দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। অল-আউট অ্যাকশন নেওয়া হবে। প্রশাসন কড়া হাতে এই হিংসা প্রতিহত করবে। প্রতিটি সন্ন্যাসীর অতীত রয়েছে, প্রতি পাপীর ভবিষ্যৎ রয়েছে। আজ যারা বাজে কাজ করছেন, ভবিষ্যতে তারাই ভালো কাজ করতে পারেন। আজকের হিংসা ভবিষ্যতের প্রজন্মের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তবে আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাংলাকে নিরাপদ জায়গায় পরিণত করে তুলব।’
আরও পড়ুন: গণনা চলবে ৩০ হাজার ৩৯৬টি টেবিলে, কীভাবে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণ?
প্রসঙ্গত, শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রবিবার বিকেলে দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। বিমানে ওঠার আগে বলেছিলেন, মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে যাচ্ছি। এই আবহে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে নর্থ ব্লকে যান রাজ্যপাল বোস। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেই সময় বোস বলেন, ‘ভোরের ঠিক আগেই নিকষ অন্ধকার থাকে। তবে এই সুড়ঙ্গের শেষপ্রান্তে আলোর ঠিকানা থাকবে। কনকনে শীত পড়লে বুঝতে হবে বসন্ত আসন্ন। আগামী দিন ভালো কাটবে।’ এদিকে গতকাল শাহের সঙ্গে বৈঠকের আগে সিআরপিএফের ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। আর আজ কলকাতায় ফিরে এসে 'রাজনীতিক প্রভুদের' বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার বার্তা দিলেন রাজ্যপাল।