এদিকে পুনর্নির্বাচনের আগের রাতেও জারি হিংসা। সিপিএম কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়ায়। জখম ব্যক্তির নাম সাজ্জাদ মণ্ডল। জানা গিয়েছে, গুলি লাগার পর হাসপাতালে না গিয়ে আতঙ্কিত সাজ্জাদ বাড়ি পালিয়ে আসেন। এরপর ভয়ে সেখানেই থাকেন দু'ঘণ্টা। উল্লেখ্য, এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনও রক্ত ঝরেছিল নদিয়ায়। একাধিক জয়গায় ছাপ্পার অভিযগ উঠেছিল। আবার ছাপ্পার প্রতিরোধে পালটা তৃণমূলকে 'মার' দিতে দেখা গিয়েছিল বিরোধীদের। নদিয়ায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। (পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় খবর এবং লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে)
উল্লেখ্য, আজ নদিয়ায় ৮৯টি বুথে পুনর্নির্বাচন। সেই তালিকায় আছে পাটয়াভাঙা ২৫২নম্বর বুথও। তার প্রস্তুতিতেই বেরিয়েছিলেন সাজ্জাদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভাই তারিকুল মণ্ডল। কাজ শেষে দুই ভাই বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। সাজ্জাদের দাবি, নির্বাচনের দিন এলাকায় সন্ত্রাস রুখতে ও ছাপ্পা প্রতিরোধে সক্রিয় হয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হল। জানা গিয়েছে, তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে।
এদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে সেখানেই বাইক ফেলে পালিয়ে আসেন সাজ্জাদ ও তাঁর ভাই। কোনওক্রমে নিজেরই বাড়ির পাঁচিল টপকে ভেতরে ঢোকেন তাঁরা। আশঙ্কা ছিল, সামনে থেকে হয়ত কেউ নজর রাখছে। বাড়িতে ঢুকতে দেখলে এখানেই হামলা চালাবে। এই আবহে নিজের বাড়িতে আতঙ্কে দু'ঘণ্টা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় লুকিয়ে থাকেন সাজ্জাদ। পরে অন্ধকারে লুকিয়ে লুকিয়ে নিজের বাড়ির বাইরে বের হন সাজ্জাদ। বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন এই বাম কর্মী।
এর আগে গত শনিবার নদিয়ার চাপড়ায় ভোট দিতে গিয়ে এক ভোটার মারা গিয়েছিলেন। জানা যায়, মৃতের নাম হামজাদ আলি হালসান। তিনি এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ভোট দিতে গেলে তাঁকে এবং বেশ কয়েকজন তৃণমূল সমর্থককে বেধড়ক মারা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আঙুল ওঠে সিপিএম-এর দিকে। সংঘর্ষে মোট ১৫ জনের মতো জখম হয়েছিলেন। নদিয়ার চাপড়ায় বড় আন্দুলিয়া হাই স্কুলের ১০০ নম্বর বুথে গুলি চলেছিল ভোটের দিন।