রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে একাধিক অভিযোগ ভোটের আগে থেকেই এসেছিল বিরোধীদের তরফে। ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতেও একাধিক ইস্যুতে দায়ের হয়েছে মামাল। উল্লেখ্য, ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে ভোটগ্রহণ পর্বের বহু আগে থেকেই শুরু হয়েছিল মনোনয়ন ঘিরে একাধিক অভিযোগ। এসেছিল নানান অনিয়মের ইস্যু। তারই মধ্যে এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে মক্কায় বসে মিনাখার প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই ইস্যুতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে সরকারি কর্মীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখার নির্দেশ উঠে এল।
অভিযোগ ছিল, মনোনয়ন ঠিক করে যাচাই না করেই জমা নেওয়া হয়েছে। আর সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিনাখাঁর তৃণমূল প্রার্থী মহরুদ্দিন গাজির মনোয়ন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল মামলা। সেই মামলা নিয়ে সদ্য কলকাতা হাইকোর্ট বড়সড় নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই মামলায় সরকারি কর্মীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। গত ১০ জুন জমা পড়েছিল মেহরুদ্দিন গাজির মনোনয়ন। মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের এই তৃণণূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তাঁর মনোনয়ন পত্র জমার প্রক্রিয়া ঘিরে। সৌদি আরবে বসে মিনাখাঁয় তিনি প্রস্তাবকের মাধ্যমে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বলে দাবি ওঠে। সেখানে স্বাক্ষর জাল করারও অভিযোগ ছিল। নিয়ম অনুযায়ী, অনলাইনে যদি মনোনয়ন জমার ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে প্রার্থীকে নিজে এসে জমা দিতে হয় মনোনয়ন। পঞ্চায়েতের রিটার্নিং অফিসারের সামনে সই করে জমা দিতে হয় মনোনয়ন। তবে মহরুদ্দিন গাজির মনোয়ন ঘিরে অনিয়মের অভিযোগের প্রমাণ পায় কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরই তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়।
( Monsoon Session: কুশলবার্তা বিনিময়ে এগিয়ে এলেন মোদী, গুগলি দিলেন সোনিয়া, পুরো গল্প শোনালেন অধীর)
এদিকে অভিবাসন দফতর সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যায়, গত ৪ জুন বিদেশে পাড়ি দেন মহরুদ্দিন গাজি। ফেরেন ১৬ জুন। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে ১০ জুন কীভাবে মনোনয়ন তিনি জমা দিয়েছেন? সেক্ষেত্রে মনোনয়ন জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এই মামলায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবী প্রসাদ দের নজরদারিতে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয় ডিআইজি সিআইডিকে। নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। নির্দেশ হয় ৪ সপ্তাহের মধ্যে বিচারপতি সিনহার এজলাসে জমা দিতে হবে রিপোর্ট।