কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেত্তার এখনও ভোটে লড়ার টিকিট পাননি। এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ দানা বেঁধেছে।তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রবিবার পর্যন্ত তিনি দলের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবেন। এরপর তিনি পরের সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে বিজেপি এখনও ১২টি আসনে তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি। তার মধ্যে হুবলি ধারওয়ার সেন্ট্রাল আসনটিও রয়েছে।
শুক্রবার রাতে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমি রবিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এরপর নিজের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করব। এদিকে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল এজন্য বিজেপিকে কতটা মাসুল দিতে হবে? এভাবে সিনিয়র নেতাদের বঞ্চনা করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন নেতাদের এনিয়ে ভাবতে হবে।
তিনি জানিয়েছিলেন, দলকে নিশ্চিত করতে হবে যে এনিয়ে তাদের মধ্য়ে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। এমনকী প্রাক্তন সিএম বিএস ইয়েদুরিয়াপ্পা জানিয়েছিলেন, যদি সেত্তার টিকিট না পান তবে একটা জায়গায় তার প্রভাব পড়বে এমনটা নয়, অন্তত উত্তর কর্নাটকের ২০-২৫টি আসনে তার প্রভাব পড়বে। জানিয়েছেন সেত্তার।
তিনি জানিয়েছেন, গোটা কর্নাটক জুড়ে তার প্রভাব পড়বে। তবে অন্তত ২০-২৫টি আসনে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে।
এদিকে গোটা ঘটনায় হুব্বালি ধারওয়াদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের একাধিক কাউন্সিলর ইস্তফাও দিতে চেয়েছেন। সেকথা জানিয়ে সেত্তার জানিয়েছেন, তারা যে আমার প্রতি আস্থা জানিয়েছেন সেজন্য তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
কাউন্সিলররা তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারাও আঘাত পেয়েছেন। তাদের কাছে এটা অনেক হয়েছে। পুরসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে তারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা তাদের মনের আঘাতকে প্রকাশ করেছেন।
এদিকে বিজেপির একাধিক নেতার মতে সেত্তার টিকিট পাবেন। সেক্ষেত্রে তিনি জানিয়েছেন, আমি ব্যাপারটি শুনেছি। তবে ফলাফল না দেখে কোনও মন্তব্য করব না।
এদিকে গত ১১ এপ্রিল সেত্তার প্রেস মিটে জানিয়েছিলেন, দিল্লি থেকে তাঁকে ফোন করে বলা হয়েছিল আপনি কেন্দ্রটি অন্য কাউকে ছেড়ে দিন। কমবয়সী কাউকে সুযোগ দিন। কিন্তু তিনি এতে রাজি হননি।
এদিকে সব মিলিয়ে বিজেপি এখনও পর্যন্ত ২১২টি আসনে প্রার্থী পদ ঘোষণা করেছে। কিন্তু এখনও ১২টি আসনে কোনও প্রার্থী দেয়নি। এবার সেত্তারের কপালে শিকে ছেঁড়ে কি না সেটাই দেখার।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup