প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি এমপি হর্ষবর্ধন রবিবার ঘোষণা করে দিলেন তিনি রাজনীতি ছাড়ছেন। এবার শেকড়ের খোঁজে যাবেন তিনি। বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আর সেই তালিকায় নাম নেই হর্ষবর্ধনের। এরপরই তিনি রাজনীতি থেকেই সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন। এখানেই শেষ নয়, রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার পরে তিনি কী করবেন সেকথা সবিস্তারে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন তিনি।
তিনি প্রায় তিরিশ বছরের সোনার অতীতের কথা সবিস্তারে লিখেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও দলীয় কর্মীদের নানাভাবে ধন্য়বাদ দিয়েছেন।
তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, প্রায় তিন বছরের রাজনৈতিক কেরিয়ার। পাঁচটি বিধানসভা ও দুটি সংসদ ভোটে বিরাট মার্জিনে জিতেছিলাম। সংগঠনে ও সরকারের নানা পদে আমি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছি।এবার আমি আমার শেকড়ে ফিরব।
বয়স ৬৯ বছর। তিনি লিখেছেন, আমি আর ধৈর্য্য ধরতে পারছি না। আমাকে কথা রাখতে হবে। এরপরই লিখেছেন, miles to go before I sleep…আমার একটা স্বপ্ন আছে। আশা করি আপনাদের আশীর্বাদ থাকবে। কৃষ্ণনগরে আমার নাক কান গলার যে ক্লিনিক সেটা আমার ফেরার জন্য অপেক্ষা করছে। এদিকে প্রথম দফায় যে প্রার্থীদের নাম বিজেপি ঘোষণা করেছে তার মধ্য়ে প্রবেশ ভার্মা, রমেশ ভাদুড়ি, মীনাক্ষ্মী লেখি ও হর্ষ বর্ধন রয়েছেন।
হর্ষবর্ষন লিখেছেন, তৎকালীন সময়ে আরএসএস নেতারা আমায় নির্বাচনী যুদ্ধে নামার জন্য় উৎসাহ দিয়েছিলেন। তাঁরা আমায় বুঝিয়েছিলেন, রাজনীতি মানে হল তিনটি শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করা, দারিদ্রতা, রোগ আর অজ্ঞানতা।
তিনি জানিয়েছেন, আমি দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়মন্ত্রী হিসাবে দুবার দায়িত্ব সামলেছি। পোলিও মুক্ত ভারত তৈরির দায়িত্ব আমায় দেওয়া হয়েছিল। কোভিডের সময় গোটা দেশ যখন প্রায় আক্রান্ত তখন আমরাও লড়াই করে গিয়েছি।
তিনি লিখেছেন, একেবারে মন থেকে স্বয়ংসেবক ছিলাম। দীন দয়াল উপাধ্য়ায়ের পরম ভক্ত ছিলাম, অনুরাগী ছিলাম আমি। তিনি লিখেছেন, সাধারণ মানুষের পাশে থাকার সুযোগ আমি পেয়েছি বার বার।…ভগবান রাম আমার উপর সদয় ছিলেন সেকারণেই আমি মানুষের সেবা করার অধিকার পেয়েছিলাম। নরেন্দ্র মোদীজির সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য আমি পেয়েছিলাম। আমি কৃতজ্ঞ তাঁর প্রতি। তবে তামাক বিরোধী আন্দোলন, আবহাওয়ার পরিবর্তন সম্পর্কিত ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ আমি চালিয়ে যাব।