বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের ভাঙন শুরু হয়েছে। তা এখনও অব্যাহত রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের মুখে আবারও মধ্যপ্রদেশে বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। এবার বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সৈয়দ জাফর। সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ জনের বেশি কংগ্রেস নেতা কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এর ফলে লোকসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের ভোট বাক্সে প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুনঃ মধ্যপ্রদেশে ভোটের আগেই অর্ধেকের বেশি আসনে কার্যত হার স্বীকার কমলনাথের
লোকসভা নির্বাচনে এবার ছিন্দওয়ারা আসন থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন কমলনাথের ছেলে নকুল নাথ। বলা হয় জাফর নকুল নাথের খুবই বিশ্বস্ত ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি রাজ্য কংগ্রেসের মুখপাত্রও ছিলেন। সোমবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মোহন যাদব, রাজ্য বিজেপি সভাপতি ভিডি শর্মা এবং নরোত্তম মিশ্রের উপস্থিতিতে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন জাফর। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রোফাইল পরিবর্তন করতে দেখা গিয়েছে জাফরকে। এদিন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই তিনি সিএএ-র পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গোটা দেশে সিএএ কার্যকর করার পর থেকেই বিজেপিকে সমর্থন জানিয়ে আসছিলেন জাফর। বিজেপিতে যোগ দিয়ে জাফর জানান, তিনি কংগ্রেস ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কারণ দলটি সিএএ সম্পর্কে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। ভারতের মুসলমানরা সিএএ দ্বারা কোনওভাবেই প্রভাবিত হবে না। একইসঙ্গে তিনি জানান, তিনি কমল নাথকে সর্বদা পিতৃতুল্য ব্যক্তি হিসাবেই মনে করতেন। তবে এখন তিনি ছিন্দওয়ারায় বিজেপি প্রার্থী বিবেক বান্টি সাহুর জয়ের জন্য প্রচার চালাবেন।
সৈয়দ জাফর ছাড়াও এদিন বিজেপিতে যোগ দেন দামোহের পাথারিয়া বিধানসভা এলাকার প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দীনেশ শ্রীধর, রাজ্য কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মনীষা দুবে এবং রতলাম জেলা পঞ্চায়েত সদস্য সন্তোষ পালিওয়াল সহ ৬৪ জন নেতাকর্মী।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বরে কংগ্রেসের মুখপাত্র এবং মিডিয়া সমন্বয়কারী নরেন্দ্র সালুজা বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। এরপর চলতি বছরের শুরুতে কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের সহ-সভাপতি অজয় যাদবও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আর এবার কমল নাথ ঘনিষ্ঠ জাফর যোগ দিলেন পদমশিবিরে।