লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব ২৬ এপ্রিল। মাঝে আর একটা দিন। তাই জোরদার প্রচার চলছে সারা দেশে। আজ, বুধবার বিজেপি শীর্ষ নেতারা এবং ইন্ডিয়া জোটের শীর্ষ নেতারা গোটা দেশের নানা রাজ্যে প্রচার সেরে ফেললেন। কারণ আজ হল প্রচারের শেষ দিন। দ্বিতীয় দফার ভোটপর্বের আগে আজই ছিল শেষ প্রচার। তাই কেউ এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে চাননি। এখন ৪৮ ঘণ্টা নীরব থাকতে হবে। আগামী ২৬ এপ্রিল ১২টি রাজ্যের ৮৮টি লোকসভা কেন্দ্রে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট হবে। একইসঙ্গে মণিপুরের বাকি অংশে ভোট হবে। এবারের নির্বাচনে মণিপুর জ্বলন্ত ইস্যু।
এদিকে ১২টি রাজ্যের ১২০৬ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে আগামী ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে। আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দু’জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে সেদিন। এই তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই ২৬৩৩টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। এই বিপুল পরিমাণ মনোনয়নপত্র পরীক্ষার পর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪২৮। দ্বিতীয় দফায় কেরল থেকে সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন জমা পড়েছে। সংখ্যাটা হল—৫০০। তার পর রয়েছে কর্নাটক, ৪৯১টি মনোনয়ন জমা পড়েছে।
আরও পড়ুন: ‘তারকাটা মহিলা’, অগ্নিমিত্রা পালের আক্রমণের পাল্টা জবাব দিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য
অন্যদিকে এই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ইস্যু হল, মোদী কি গ্যারান্টি। আর কংগ্রেস সেখানে রেখেছে ন্যায় গ্যারান্টি। স্বাভাবিকভাবেই এখন দেখার বিষয়, কোন গ্যারান্টিতে জনগণ সারা দেয়। তার উপরই নির্ভর করছে দেশের সরকার গঠন। তবে এই আবহে ইন্ডিয়া জোটকে কড়া আক্রমণ করেছে বিজেপির নেতারা। তাঁরা তুলে ধরেছেন, ইন্ডিয়া জোটে আছে দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র, সংবিধানকে অপমান এবং হিন্দুত্ব। পাল্টা ইন্ডিয়া জোট কড়া নিশানা করেছে বিজেপিকে। তাঁরা সামনে নিয়ে এসেছে, মোদী সরকারের ইলেক্টরাল বন্ড কেলেঙ্কারি, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার, মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারি–সহ নানা ইস্যু।
এছাড়া অমিত শাহ থেকে রাজনাথ সিং সকলেই নিজেদের প্রার্থীদের হয়ে জোরদার প্রচার করেছে। তাঁদের ভাল গুণ তুলে ধরেছেন। পাল্টা মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী কংগ্রেস প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে সবকিছু উজাড় করে দিয়েছেন। দ্বিতীয় দফায় রাহুল গান্ধী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ওয়েনাড় থেকে। শশী থারুর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিরুঅনন্তপুরম থেকে। বিজেপিও এখানে জোর টক্কর দিতে নামছে। সুতরাং হাইভোল্টেজ নির্বাচন দেখবে গোটা দেশ।