অসমে বিহু উৎসবের অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর তার জন্য দেড় লক্ষ টাকা করে অর্থ ছাড়ার পর্যন্ত অনুমতি মিলেছে। সেখানে বাংলায় জলপাইগুড়িতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে বাড়ি–ঘর ভেঙে পড়েছে মানুষজনের। কিন্তু বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার অনুমতি দেয়নি নির্বাচন কমিশন। এমনই অভিযোগ তুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই পয়লা বৈশাখে বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুমতি চাইল রাজ্য সরকার। হাতে আর দু’দিন আছে। তারপরই বাংলা নববর্ষ পালিত হবে।
এদিকে পয়লা বৈশাখকে ‘বাংলা দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেক বছর তা পালন করা হয়ে। বাংলার জন্য গানও তৈরি করা হয়েছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি এখন বঙ্গের সঙ্গীত হয়ে উঠেছে। প্রত্যেক বছর সরকারি নিয়মে এই দিনটি ‘বাংলা দিবস’ হিসেবে পালন করার জন্য সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সরকারি অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত যেমন হয় তেমন রাজ্যের নিজস্ব সঙ্গীতও হয়। হিসেবে এই গানটি বাধ্যতামূলকভাবে পরিবেশনের কথাও বলা হয় সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: ‘আব কুছ ভি হো, মৌসম বদলনা চাহিয়ে’, রেড রোডের মঞ্চ থেকে পরিবর্তনের ডাক অভিষেকের
অন্যদিকে এখন গোটা দেশে লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। তার জন্য এই প্রথম সরকারিভাবে ‘বাংলা দিবস’ পালন করতে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। বাংলা দিবস পালিত হলেও তাতে আড়ম্বর কতটা থাকবে সেটা নিয়ে সংশয় আছে। রবীন্দ্র সদনের সামনে ক্যাথিড্রাল রোডে এই অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এই অনুষ্ঠানের আয়োজক রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর থাকায় সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতা–নেত্রীদের না থাকার কথা বলা রয়েছে। তাই ‘বাংলা দিবস’ পালন করার অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুমতি নিয়েছে নবান্ন। তার ভিত্তিতে এবার করতে হবে বাংলা দিবস।
২০২৪ সালের পয়লা বৈশাখে রবীন্দ্র–নজরুলকে সামনে রেখে বাংলা দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতে চলেছে। আড়ম্বর সেভাবে করা হবে না। জেলাগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বাংলা দিবস পালন করতে বলে সূত্রের খবর। ২০২৩ সালের ২০ জুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজভবনে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করে বিতর্ক তৈরি করেন। মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়ে এবং ফোন করে রাজ্যপালকে এই কাজ না করতে অনুরোধ করেছিলেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর সেই অনুরোধ তিনি উপেক্ষা করেই রাজভবনে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করেছিলেন।