আগামী মাসেই লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে। তার আগে সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই বিজেপি অন্তত ১০০জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারে। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সূত্র বলছে এই তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের নাম থাকতে পারে। মানে তাঁরা এবার কোন আসন থেকে লড়বেন সেটা এবার ঘোষণা করা হতে পারে।
সূত্রের খবর, আগামী ২৯ শে ফেব্রুয়ারি বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটি মিটিংয়ে বসতে পারেন। আর তারপরেই প্রথম তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে। এদিকে এবার ৩৭০টি আসন জেতার টার্গেট দিয়েছে বিজেপি। নিঃসন্দেহে বিরাট টার্গেট। আর সেই টার্গেট পূরণ করার ক্ষেত্রে প্রথম তালিকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই তালিকা দেখে বোঝা যেতে পারে বিজেপি ঠিক কোন রণকৌশল প্রয়োগ করতে চাইছে। তবে সূত্রের খবর, এনডিএ এবার ৪০০ আসন জেতার টার্গেট নিয়ে লোকসভা ভোটের লড়াইতে নামছে।
প্রথম তালিকায় নাম থাকতে পারে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। বারাণসী থেকে জিতেছিলেন মোদী। একবার নয়, দুবার। ২০১৪ সালে তিনি ৩,৩৭ লাখ ভোটের মার্জিনে জিতেছিলেন। ২০১৯ সালে সেটা বেড়ে হয়ে গিয়েছিল ৪.৮ লাখ ভোট। আর গান্ধীনগর থেকে ভোটে জিতেছিলেন অমিত শাহ। এর আগে সেই আসনে দাঁড়াতেন এলকে আদবানি।
এদিকে পাঁচ রাজ্যে কোন ধরনের রণকৌশল প্রয়োগ করা হবে সেই সংক্রান্ত ব্যাপারে বিজেপি একাধিক মিটিং করেছে। সেই পাঁচ রাজ্য়ের মধ্য়ে অন্য়তম হল উত্তরপ্রদেশ। উত্তরপ্রদেশ সংক্রান্ত সেই মিটিংয়ে সেখানকার মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ একাধিক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা উপস্থিত ছিলেন।
উত্তরপ্রদেশের পরে বাংলা, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, ছত্তিশগড় নিয়েও মিটিং করেছে বিজেপি। রাজস্থানের মুখ্য়মন্ত্রী ভজন লাল শর্মা ও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই দিল্লির মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এবারের লোকসভা ভোটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য হল বাংলা। বাংলায় আসন ধরে রাখা এবার বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এদিকে লোকসভা ভোটের আগেই এবার বিজেপির কাছে হাতেগরম ইস্য়ু হল সন্দেশখালি। সেই সন্দেশখালি ইস্যুতে কতটা কাজে লাগাতে পারবে বিজেপি তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ বহু জায়গায় বিজেপির সংগঠন যথাযথ নেই। সেক্ষেত্রে বিজেপি এবার কতটা ভালো ফল করতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিভিন্ন মহলে। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।