বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার থেকে বলিউড হিরোইন- এবার লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীতালিকায় একাধিক চমক থাকতে পারে। তৃণমূলের সূত্র উদ্ধৃত করে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে কীর্তি আজাদকে টিকিট দিতে পারে তৃণমূল। আবার আসানসোলের প্রার্থী হিসেবে শত্রুঘ্ন সিনহার মেয়ে তথা বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষীর নাম উঠে আসছে। সেইসবের মধ্যে লোকসভা ভোটে যে তৃণমূলের টিকিটে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মিমি চক্রবর্তী লড়াই করছেন, সেটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। তবে তাঁদের আসন চূড়ান্ত হয়নি। তারইমধ্যে বিধানসভা ভোটে যেভাবে কঠিন লড়াইয়ে জিতে এসেছেন, সেই পরিস্থিতিতে মেদিনীপুর থেকে দিলীপ ঘোষের (তাঁর নাম এখনও সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়নি) বিরুদ্ধে টিকিট দেওয়া হতে পারে জুন মালিয়াকে। যদিও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
রচনা বনাম মিমি?
তৃণমূলের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ালের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে রচনাকে কাঁথি বা তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানোর কথা ভাবছিল রাজ্যের শাসক দল। তবে নিজে সেখান থেকে লড়তে চাইছেন না ‘দিদি নম্বর ১’। সেই পরিস্থিতিতে রচনাকে হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যে আসনে প্রাথমিকভাবে মিমিকে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছিল তৃণমূল। যদি শেষপর্যন্ত হুগলি থেকে রচনাকে দাঁড় করানো হয়, তাহলে মিমিকে অন্য কোথাও পাঠানো হবে।
যাদবপুরে সায়নী
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতবার যাদবপুর থেকে মিমি জিতলেও তাঁকে ওই আসন থেকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। পরিবর্তে সায়নী ঘোষকে যাদবপুর থেকে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে তৃণমূল। আর পুরো বিষয়টা আগামী রবিবার তৃণমূলের জনগর্জন সভায় স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে। কারণ সেদিনই তৃণমূল প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
হেভিওয়েট বর্ধমান
বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে এবার কীর্তি আজাদকে টিকিট দিতে পারে তৃণমূল। আর আসানসোলে সোনাক্ষীকে দাঁড় করানো হতে পারে। কারণ আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন নাকি নিজের আসনে মেয়েকে প্রার্থী করতে চান বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: মমতার মিছিলে সন্দেশখালির 'দুর্গারা', কেন এলেন? প্রশ্ন শুনেই মুচকি হাসি!
তৃণমূলের সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ডায়মন্ড হারবার থেকে লড়বেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাটাল থেকে দেব, আলিপুরদুয়ার থেকে বুলুচিক বরাইক, জঙ্গিপুর থেকে খলিলুর রহমান, মুর্শিদাবাদ থেকে আবু তাহের, উলুবেড়িয়া থেকে সাজদা আহমেদ, হাওড়া থেকে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃষ্ণনগর থেকে মহুয়া মৈত্র, দক্ষিণ কলকাতা থেকে মালা রায়, উত্তর কলকাতা থেকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া থেকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী, জয়নগর থেকে প্রতিমা মণ্ডল লড়তে পারেন। সেইসঙ্গে বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহানকে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।