লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা ভোট মিটেছে। এখনও বাকি ৬ দফা। এই ছ'দফার প্রচার চলছে জোর কদমে। তারই মাঝে বড় ঘোষণা করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)।
দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটরদের (পিএসও) কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছে। যাতে তারা তাদের সিস্টেমে আসা সন্দেহজনক উচ্চ অঙ্কের লেনদেনের উপর নজর রাখে।
এই বার্তার উদ্দেশ্য হল, কেউ যাতে বৈদ্যুতিন লেনদেন মাধ্যমে তহবিল স্থানান্তর করে কোনও ভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে না পারে।
আরও পড়ুন। তুমুল লাঠি, চেয়ার ছোড়াছুড়ি! রাঁচিতে ইন্ডি জোটের সভায় দর্শকাসনে ধুন্ধুমার, খোঁচা বিজেপির
উল্লেখযোগ্যভাবে, আরবিআই মনে করছে, এই ধরনের লেনদেনগুলি প্রার্থীদের তহবিল সরবরাহ করতে বা অন্যথায় ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য অপব্যবহার করা হতে পারে। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া নির্বাচন যতটা সম্ভব নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং যথাযথ ভাবে সম্পন্ন করা।
মানিকন্ট্রোলের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নন-ব্যাঙ্কিং পিএসওগুলিকে ১৫ এপ্রিল আরবিআই-এর পক্ষ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে আরবিআই বলেছে, ‘ভোটারদের প্রভাবিত করতে বা নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের তহবিল দেওয়ার জন্য অর্থ স্থানান্তরের জন্য বিভিন্ন বৈদ্যুতিন পদ্ধতি ব্যবহার করার সম্ভাবনা রয়েছে।’
চিঠিতে ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এ নিয়ে কমিশন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইসিআইয়ের নিয়মাবলী অনুসারে কর্তৃপক্ষের কাছে এই জাতীয় কোনও লেনদেনের বিষয়ে রিপোর্ট করা। এটি দেশে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রযোজ্য থাকবে।
আরও পড়ুন। 'ফিরবে ইলেক্টোরাল বন্ড', নির্মলা সীতারামনের এই মন্তব্য শুনেই আক্রমণে কংগ্রেস
পিএসওগুলি এমন মধ্যস্থতাকারী যা অ্যাপ এবং কার্ড সহ অনলাইন লেনদেন সক্ষম। এর মধ্যে রয়েছে ভিসা, রুপে, পেইউ, পেটিএম, গুগল পে এবং এমনকি বিদেশী অর্থ স্থানান্তর সক্ষম করে সংস্থাগুলিও ।
প্রসঙ্গত, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) রাজীব কুমার ১৬ মার্চ ব্যাঙ্কগুলিকেও একই ধরনের লেনদেনের বিবরণ নিয়মিত পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর কারণ, রাজীব কুমার ব্যাখ্যা করেছিলেন, ‘অর্থশক্তির প্রভাব রোধ করতে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের অংশ এটি।'
আরও পড়ুন। ভোট আবহে নজর কাড়ার নতুন পন্থা রাহুলের! অভিনব কায়দায় জনতাকে জানালেন তাঁর বার্তা