SSC নিয়োগ দুর্নীতিতে আদালতের রায়ে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ায় বিজেপিকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২ দিনে একাধিক সভায় বলেছেন, বিজেপির নির্দেশেই এই রায় দিয়েছে আদালত। বুধবার মমতার অভিযোগ খারিজ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘SSC যোগ্যদের তালিকা আদালতে জমা দেয়নি বলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে বিরোধী দলের কোনও ভূমিকা নেই।’
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘কাকুর কণ্ঠস্বর মিলে গেছে বলে ইডি আদালতে জানিয়েছে। কাকুর কণ্ঠস্বর মিলে গেছে মানে এবার ভাইপোর প্রেসার বেড়ে গেল। এখুনি মাপলে দেখবেন ১৮০র ওপরে প্রেসার উঠে গেছে। কী বলেছিল, আমার সাহেব। ওর কাছে কেউ পৌঁছতে পারবে না। ধর্মের কল বাতাসে নড়ে’।
এর পরই SSC দুর্নীতির রায় নিয়ে মমতাকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘এই চোরেরা পশ্চিমবঙ্গে সব লুঠ করেছে। যাদের চাকরি চলে গেছে, তাদের মধ্যে অনেকে বলছেন আমরা যোগ্য। যোগ্য কারা আর অযোগ্য কারা এই রিপোর্টটা দেওয়ার কথা ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের। তারা চোরেদের বাঁচানোর জন্য, অতিরিক্ত পোস্টে নিয়োগ করা লোকেদেরকে বৈধতা দেওয়ার জন্য, দোকান খুলে টাকা নিয়ে নিয়োগ করা লোকেদের বৈধ করার জন্য যোগ্য কে, অযোগ্য কে এর তালিকাটা পর্যন্ত কোর্টে দেননি। এখানে যারা কেস করেছেন বা কেস লড়েছেন বা প্রধান বিরোধী দল বিজেপির কোনও ভূমিকা নেই। সম্পূর্ণ ঘটনার জন্য যদি কেউ দায়ী হয়ে থাকেন, তাঁর নাম মমতা ব্যানার্জি। পালাবে কোথায়? একুশের আগে বলেছিল, ডবল ডবল চাকরি হবে। এখন ডবল ডবল চাকরি যাচ্ছে’।
এমনকী মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ৬ লক্ষ সরকারি চাকরি অবলুপ্ত করার অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, ‘আমি মমতা ব্যানার্জির মন্ত্রিসভায় কিছুদিন ছিলাম। এই অমিত মিত্র বলে একটা লোক আছে। ৬ লক্ষ স্থায়ী পদ অবলুপ্ত করেছেন। তার বদলে ৩০ হাজার কন্ট্রাক্টচুয়াল চাকরি হয়েছে। পার্টি নেতার আত্মীয়স্বজন বা টাকার বিনিময়ে। পশ্চিমবঙ্গে চাকরিতে নিয়োগের যতগুলো বোর্ড আছে কোনওটাতে গত কয়েক বছর কোনও নিয়োগ হয়নি’।
বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে মাছ – মাংস খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দাবি করেছেন তাকে নস্যাৎ করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছে, মোদীজি বলেছে মাছ খাওয়া যাবে না। আরে এই মোদীজিই তো কেন্দ্রে মৎস্যচাষ মন্ত্রক চালু করেছে। মৎস্যজীবীরা ৪ মাস সমুদ্রে যেতে পারে না। তাই মৎস্যচাষ দফতরের মন্ত্রী পুরুষোত্তমদাস গোপালা জেলেদের জন্য বছরে ৪ মাস অস্থায়ী পেনশনের ব্যবস্থা করেছেন’।