বহু বিজেপি নেতাও ভাবতে পারেননি এতটা জয় পাবে গেরুয়া শিবির। তবে এই ফল দেখার পরে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, গোটা খেলাটাই যে এখন দান খয়রাতি, প্রতিশ্রুতির উপর হচ্ছে, ফ্রিতে পরিষেবা দেওয়ার বিনিময়ে ভোট হচ্ছে এটা মানতেই হবে। বিজেপির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে মহিলাদের নানা ধরনের উপটৌকন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এটা বিজেপির ক্ষেত্রে বিরাট কাজ করে গিয়েছে। মহিলারা দলে দলে বিজেপির পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। তবে ফলাফল শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেই মহিলাদেরই প্রণাম জানিয়েছেন মোদী। বার বার তাঁদের কথা তিনি বলেছেন।
মধ্যপ্রদেশে মহিলাদের জন্য় যে প্রতিশ্রুতির কথা বিজেপি ঘোষণা করেছিল তাতেই বাজিমাত হয়ে গেল। ছত্তিশগড়েও শেষ মুহূর্তে এই ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।আর তার জেরে একেবারে ভোটের বন্যা বয়ে গেল বিজেপির পক্ষে।
এদিকে অনেকের মতে কর্ণাটকে কংগ্রেস বিগতদিনে ঠিক এই ছকেই খেলেছিল। তার জেরে কুপোকাত হয়ে গিয়েছিল বিজেপি। আর এবার মধ্য়প্রদেশে বিজেপি নেতৃত্ব মহিলাদের সুবিধার জন্য, মহিলাদের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার জন্য় নানা প্রতিশ্রুতি দেয়। তার ফল হাতে নাতে পেয়েছে বিজেপি শিবির।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দেখানো পথে হেঁটে কখনও বিজেপি, কখনও আবার কংগ্রেস লভবান হয়েছে। সেই পথটা হল মহিলা ভোটারদের নিজেদের দিকে আনা। আর সেই মহিলা ভোটারদের পাশে পাওয়ার একটাই পথ সেটা হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।
২০২১ সালে এই মহিলা ভোটাররাই দলে দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। তার ফলও মিলেছে। এদিকে কর্ণাটকে কংগ্রেস ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটের আগে তাদের ইস্তেহারে গৃহলক্ষ্মীর কথা উল্লেখ করেছিল। আর সেটা ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতির কথা ঘোষণা করেছিলেন তার থেকে প্রায় ৪ গুণ বেশি। তাতেই জয় হাসিল করেছিল কংগ্রেস।
এদিকে এবারও কর্ণাটকের মতোই মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে এই প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু বিজেপি প্রথম দিকে এসব ঘোষণা না করলেও একেবারে শেষ মুহূর্তে বিজেপি মধ্য়প্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে এই প্য়াকেজ ঘোষণা করে। আর তাতেই খেলা ঘুরে গেল। মধ্য়প্রদেশে লাডলি বেহেন যোজনার টাকার অঙ্কও বাড়িয়ে দেওয়ার কথা জানান মধ্য়প্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী। তারপরেই হাওয়া ঘুরতে শুরু করে।