এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী অরূপ ধাড়া ৪৮.৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির শিবরাম দাস পেয়েছেন ৪৪.৩৫ শতাংশ ভোট।
এই কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অরূপ ধাড়া। বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন শিবরাম দাস। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন আইএসএফের গৌরাঙ্গ দাস। এই কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত।
মেদিনীপুর বিভাগের একটি জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলাকে দু’ভাগে ভাগ করে এই জেলা স্থাপিত হয়। এই জেলায় তিনটি মহকুমা রয়েছে খড়্গপুর, মেদিনীপুর সদর ও ঘাটাল। চন্দ্রকোণা এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী ছায়া দলুই৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১১৭,১৭২৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী শান্তিনাথ বধুক৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৭৮,৭৯১৷ তৃণমূল প্রার্থী ছায়া দলুই তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী শান্তিনাথ বধুককে ৩৮,৩৮১ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।
১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৬ টানা তিনবারের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের গুরুপদ দত্ত চন্দ্রকোণা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ২০০৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্মীপ্রিয় মণ্ডল, ২০০১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীর কুশারী ও ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের মলয় ভট্টাচার্যকে পরাজিত করেছিলেন লক্ষ্মীপ্রিয়। ১৯৯১ সালে সিপিআইএমের উমাপতি চক্রবর্তী ইউসিপিআইয়ের সত্য বোসালকে এই আসন থেকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের শেখ খলিলুর রহমান, ১৯৮২ সালে নির্দলের সত্য বোসাল ও ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের জগন্নাথ গোস্বামীকে পরাজিত করেছিলেন উমাপতি।
১৯৭১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিপিআইয়ের তরফে দাঁড়ানো সত্য বোসাল জিতেছিলেন।১৯৬৯ ও ১৯৭১ সালে সিপিআইএমের ষোড়শী চৌধুরী চন্দ্রকোণা আসনে জয়ী হয়েছিলেন। আবার ১৯৬২ ও ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের ইন্দ্রজিৎ রায় ওই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু তার আগে এই আসন ছিল না।