রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই ফের শুরু হল রাজনৈতিক হিংসা। আর এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের সামনে বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছিলেন। তার কয়েক মিনিট পর সেই একই অভিযোগ তুলে পাল্টা তৃণমূলের দিকে আঙুল তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জয় বিজেপি কর্মী রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন। তাঁর আরও অভিযোগ পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুধু দেখছে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এদিন দিলীপ ঘোষ রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ তুলে বলেন, ' শতাধিক বাড়ি, আমার মনে হয় হাজার হাজার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। জ্বালানো হয়েছে। বহু মানুষ ঘরছাড়া। প্রতিটি বিধানসভা থেকে হিংসার খবর আসছে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দোকানপাট লুঠ হয়ে যাচ্ছে। এত বড় সমর্থন পাওয়ার পরও যদি এই অরাজকতা চলছে।' তাঁর অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। এই আবহে বিজেপি রাজ্যপাল এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করবে বলে জানান দিলীপ।
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, 'ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার আগে থেকেই রাজ্যে হিংসার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কর্মীরা আমাদের পার্টির কার্যালয়, কর্মী, নেতা ও তাদের বাডি় দোকান-সব জায়গায় হামলা শুরু হয়েছে। এসব ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তবে পুলিশের বক্তব্য, আমরা কী করব।'
দিলীপ ঘোষের দাবি, জগদ্দলে বিজেপির বুথ কর্মীর মা শোভারানী মণ্ডল মারা গিয়েছেন তৃণমূলের অত্যাচারে। রানাঘাটে উত্তম ঘোষ নামে এক বিজেপি সমর্থক মারা গিয়েছেন। বেলেঘাটায় অভিজিত্ সরকারকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। সোনারপুরে বিজেপি কর্মী হারান অধিকারী ও শীতলকুচিতে বিজেপি সমর্থক মানিক মৈত্রকে খুন করা হয়েছে। এই আবহে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দিলীপ ঘোষ।