রাত পোহালেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এদিন হুগলির নির্বাচনী জনসভা থেকে বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতা–নেত্রীরা বারবার সারদা–নারদ–রোজভ্যালির দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছে। ভোট রাজনীতিতে তা বারবার তুলে ধরা হয়েছে। এবার নয়া সংযোজন রোজভ্যালির সঙ্গে জড়িয়ে লকেট বলে আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘বিজেপির লোক নেই। তাই সাংসদকে প্রার্থী করেছে। এরপর পুরভোট, পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়াবে। আমি তো ওদের কীর্তিকলাপ সব জানি। আমাদের দলকে সারদা–নারদা বলে। আর সারদা–নারদার সবচেয়ে কোলের বাচ্চা হচ্ছে ওরা। লকেট তো রোজভ্যালির গলার লকেট। সব জানি। ওদের বিরুদ্ধে কিছু হয় না। ও তো জিতবে না। টাকার জন্য, বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তার সঙ্গে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী হুগলির সাংসদ সারদা–রোজভ্যালির দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত?
এখানেই থেমে থাকেননি বাংলার নেত্রী। তাঁর কটাক্ষ, ‘লকেটকে নিয়ে আর নতুন করে কী বলব! ও তো রোজভ্যালির গলা লকেট হয়ে ঘুরে বেড়ায়। এরা এমপি হবে, এমএলএ হবে, কাউন্সিলর হবে, গ্রামসভা হবে, ভাত খাবে, মাছ খাবে, মাংস খাবে, দুধ–ভাত খাবে, দই খাবে, বিরিয়ানি খাবে, তরকা খাবে। আর অন্য মানুষ কেউ কিছু খাবে না। কেন বিজেপি? তোমার যদি এতই ভালো পার্টি হয়, লোকাল প্রার্থী খুঁজে পেলে না!’
এরপরই বিজেপিকে সরাসরি কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমো সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, ‘গুজরাটিরা বাংলা শাসন করবে না। বিজেপির মণ্ডলরা ঠিক করে দিচ্ছে নির্বাচনের দিন। বলবে, কোভিড হয়েছে বলে নির্বাচন বন্ধ করে দাও! এসব চলবে না। ভোট যখন শুরু হয়েছে, শেষ করতে হবে। জেসপ, ডানলপের কথা বলেছিলাম কেন্দ্রকে। প্রয়োজনে রাজ্য কারখানা অধিগ্রহণ করবে। কেন্দ্র কানেও শোনে না, চোখেও দেখে না। জেসপের মালিক বিজেপি হয়ে গিয়েছে। জেসপের মালিকের বিরুদ্ধে কিছু করে না।’ তবে লকেট নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তিনি তার জবাব দিয়েছেন হুগলির সাংসদ। তিনি পাল্টা বলেন, ‘হিম্মত থাকলে, প্রমাণ করুন, মামলা করুন। হেরে যাওয়ার ভয়ে এখন ভোটের আগে এসে এসব বলছেন।’