ভোটের পর নন্দীগ্রামের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে পারে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক সুমিতা পাণ্ডেকে চিঠি দিলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। সেই পরিস্থিতি রুখতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানান তিনি।
নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ-পর্ব মিটে যাওয়ার পর জেলাশাসককে লেখা চিঠিতে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘ ১ এপ্রিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে সার্বিকভাবে শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু এলাকার বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ব্যক্তিগতভাবে আমার আশঙ্কা যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। তার ফলে সেখানকার বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন, শান্তি পুরোপুরি বিঘ্নিত হতে পারে।’ সেই পরিস্থিতিতে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তমলুকের সাংসদ। যাঁর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে নন্দীগ্রাম।
সেই চিঠির আগে অবশ্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সূক্ষ কথার ফাঁকেই ধর্মীয় মেরুকরণের তাস খেলছিলেন দিব্যেন্দুর দাদা শুভেন্দু। প্রচার-পর্বে যেমন মেরুকরণ অস্ত্রে শান দিয়ে নন্দীগ্রামে পদ্মফুল ফোটাতে চেয়েছেন, ভোটের দিনও সেই চেষ্টায় কোনও খামতি রাখেননি। তৃণমূল সুপ্রিমোকে বিশেষ নামে সম্বোধন হোক বা ভোট শুরুর ছ'ঘণ্টা পর মমতা অস্থায়ী ঘাঁটি থেকে বেরিয়ে আসার কারণ - সবেতেই লুকিয়ে ছিল মেরুকরণের তাস। এমনিতেও রাজনৈতিক মহলের মতে, নন্দীগ্রামে মমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুরোপুরি মেরুকরণ অস্ত্রেই ভরসা রেখেছেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রাম এক নম্বর এবং দুই নম্বর ব্লকে জনসংখ্যার গঠন অনুযায়ীও প্রচার চালিয়েছেন। আর ভোটের দিনই সেই শুভেন্দুর ভাইয়ের চিঠিতে বাড়তি রাজনৈতিক মাত্রা যোগ হয়েছে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।