এই বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন ফিরোজা বিবি। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থী শিন্টু সেনাপতি। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআই প্রার্থী চিত্তদাস ঠাকুর।
মেদিনীপুর বিভাগের একটি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলার উত্তরে হাওড়া জেলা রয়েছে। পূর্বে হুগলি নদী ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। আরও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ওড়িশা অবস্থিত। আগামী ১ এপ্রিল তমলুকে ভোটগ্রহণ হবে। পাঁশকুড়া পশ্চিম এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ১ এপ্রিল পাঁশকুড়া পশ্চিমে ভোটগ্রহণ হবে
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ফিরোজা বিবি জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯২,৪২৭৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআইয়ের চিত্তরঞ্জন দাসঠাকুর৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৮৯,২৮২৷ তৃণমূলের প্রার্থী ফিরোজা বিবি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইয়ের চিত্তরঞ্জন দাসঠাকুরকে ৩,১৪৫ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।
১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইয়ের চিত্তরঞ্জন দাস ঠাকুর পাঁশকুড়া পশ্চিম কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ২০০৬ সালে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের জাইদুল খানকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০১ ও ১৯৯৬ এর ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের জাকিউর রহমান খানকে পরাজিত করেছিলেন চিত্তরঞ্জন। ১৯৯১ সালে সিপিআইয়ের ওমর আলি কংগ্রেসের শেখ গোলাম মুর্শেদকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের অসিতবরণ সামন্তকে, ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের জ্যোতিকুমার রায় ও ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির জ্যোতিকুমার রায়কে পরাজিত করেছিলেন ওমর। ১৯৭১—৭২ সালেও ওমর এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালে বাংলা কংগ্রেসের অহিন্দ্র মিশ্রা পাঁশকুড়া পশ্চিমে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে বাংলা কংগ্রেসের আর.কে.প্রামাণিক জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫৭ ও ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের শ্যামাদাস ভট্টাচার্য জিতেছিলেন। ভারতের প্রথম নির্বাচনে পাঁশকুড়া কেন্দ্রে দু’টি আসন ছিল।পাঁশকুড়া উত্তর ও পাঁশকুড়া দক্ষিণ। কংগ্রেসের রজনীকান্ত প্রামাণিক পাঁশকুড়া উত্তর থেকে জয়ী হয়েছিলেন। কংগ্রেসের শ্যামাদাস ভট্টাচার্য পাঁশকুড়া দক্ষিণ আসনে জিতেছিলেন।