নজরবন্দি কেষ্ট। এই পরিস্থিতিতে দলের স্লোগান ‘খেলা হবে’ বলে আওয়াজ তুলেছেন তিনি। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে নজরবন্দি হয়েছেন তিনি। তবে চুপ করে থাকার ব্যক্তি তিনি নন। বরং নিজস্ব ভঙ্গিতেই তাঁর জবাব, ‘ঘরের ভিতরে চারজন মিলে কি খেলা হয় না?’ হ্যাঁ, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
আগামী ২৯ এপ্রিল ভোট–অষ্টমী তথা শেষ দফায় ভোট বীরভূমে। তার আগে অনুব্রতকে নজরবন্দি করার নির্দেশ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। তারপরেই বাড়ির সামনে হাজির কেন্দ্রীয় বাহিনী। আগামী ৩০ এপ্রিল সকাল ৭টা পর্যন্ত নজরবন্দি থাকবেন তিনি। কিন্তু এরপরও নিজস্ব ভঙ্গিতেই অনুব্রতর পাল্টা প্রশ্ন, ‘নজরবন্দি মানে কী? আমি যেখানে যাব সেখানে একজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। আর সঙ্গে কয়েকজন সিআরপিএফ থাকবে। এই তো হল নজরবন্দি। আমাকে তো গৃহবন্দি করেনি!’ অর্থাৎ বাড়ি থেকে যে তিনি বাইরে পা রাখবেন তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন।
এদিন নির্বাচন কমিশনের নাম না করে তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকবার যা করে, এবারও তা করেছে। আমি কিন্তু বাড়ি থেকে বেরোব, পার্টি অফিসেও যাব, আমার সঙ্গে সঙ্গে ওঁরা আসবে ক্ষতি কী আছে? খেলা কি তাতে বন্ধ হয়? ঘরের ভিতরে চারজন মিলে খেলা হয় না? খেলব মনে করলেই খেলা হবে।’ অর্থাৎ নজরবন্দি অবস্থাতেও ভেলকি দেখাবেন অনুব্রত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
অনুব্রত মণ্ডলের বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন ওঁর গুণধর ভাই কি কি করেন, যা যা বলেন তাতে বিপদের সম্ভাবনা আছে। আগেও নির্বাচন কমিশন করেছে। অনুব্রত মণ্ডল বাইরে থাকলে পুলিশ প্রশাসন নিজেদের কাজকর্ম করতে পারবে না।’