পশ্চিম মেদিনীপুরে পাঁচকুড়িতে হামলা চালানো হল কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ভি মুরলীধরনের কনভয়ে। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় গাড়িতে। ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পালটা দাবি, অহেতুক প্ররোচনা দিয়ে বাংলার শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির।
ভোট-পরবর্তী হিংসায় ‘আক্রান্ত’ বিজেপি কর্মীদের দেখতে বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন মুরলীধরন। পাঁচকুড়ির কাছে তাঁর কনভয়ে বাঁশ-লাঠি হাতে হামলা চালানো হয়। গাড়িতে চলে ভাঙচুর। তার জেরে সফর কাটছাঁট করেই ফিরে আসতে বাধ্য হন মুরলীধরন। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কনভয়ে হামলা চালিয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত কর্মীদের উপরও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিজেপি সভাপতি সৌমেন তিওয়ারি দাবি করেছেন, মেদিনীপুর লাগোয়া দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এবং এখানকার সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেইসময় কনভয়ের হামলা চালায় তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। মন্ত্রীর গাড়ির চালকের মাথা ফেটে গিয়েছে। তিনজন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন।
যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। তিনি দাবি করেছেন, ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নেই। কেশপুরে যাওয়ার নাম করে প্ররোচনা ছড়াচ্ছিলেন মুরলীধরনরা। পশ্চিম মেদিনীপুর শান্ত হয়ে যাওয়ায় ইচ্ছা করে শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতারা। কোথাও কোনও বড় ঘটেনি। তাও ‘আক্রান্ত’ কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার নাম করে নাটক করছে বিজেপি।