কঙ্গনার ফিল্মি কেরিয়ার মাত্র দেড় দশক দীর্ঘ। বিতর্কে যতই নাম জড়াক তাঁর, এই পাহাড়ি কন্যার অভিনয় বারবার মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। আর নিজের অভিনয় দক্ষতার জেরেই ইতিমধ্যেই তিন বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিজের ঝুলিতে পুরেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত।
২৩ই জানুয়ারি কঙ্গনার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ের ১১ বছর পূর্তি ছিল। আর এই বিশেষ দিনই এক অজানা কাহিনি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন কঙ্গনা। অভিনেত্রী জানালেন ২০০৯ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে নিজের ডিজাইন করা পোশাকে হাজির হয়েছিলেন তিনি, কারণ সেই সময় তাঁর কাছে টাকা ছিল না স্পেশ্যাল কিছু কেনবার। ২০০৮ সালে মধুর ভান্ডারকর পরিচালিত ফ্যাশন ছবিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে সেরা সহ-অভিনেত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন নায়িকা।
কঙ্গনার একটি ফ্যানপেজের তরফে শনিবার প্রতিভা পাতিলের হাত থেকে কঙ্গনার পুরস্কার গ্রহণের স্মরণীয় মুহূর্ত শেয়ার করেছিল। সেই টুইটটি রি-টুইট করে কঙ্গনা লেখেন, ' প্রথম জাতীয় পুরস্কার, অনেক খাস স্মৃতি জড়িয়ে আছে এটার সঙ্গে। আমি সেই তরুণ অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম যাঁরা এই সম্মান পেয়েছে..সেটাও একটা নারীকেন্দ্রিক ছবির জন্য এক মহিলা রাষ্ট্রপতির হাত থেকে। আমি নিজের স্যুট নিজেই ডিজাইন করেছিলাম, কারণ আমার কাছে ওতো টাকা ছিল না স্পেশ্যাল কিছু কেনবার। স্যুটটা খারাপ নয় বলুন?
১১ বছর আগের এই অনুষ্ঠানে কালো আনারকলি স্যুটে সেজেছিলেন কঙ্গনা। সোনালি গুজরাল হিসাবে দর্শক মনে আজও পাকা জায়গা করে রেখেছেন কঙ্গনা। এই ছবির জন্যই সেরা অভিনেত্রী হিসাবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
পরবর্তীতে 'কুইন' এবং ‘তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস’ ছবির জন্য পরপর দু-বছর (২০১৪ ও ২০১৫) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে কঙ্গনার ‘থালাইভি’। আপতত ‘ধাকড়’-এর শ্যুটিং নিয়ে ব্যস্ত অভিনেত্রী।