মেলা ছবির কথা নিশ্চয় সকলের মনে আছে। এই ছবি ফ্লপ হলেও মেলা নিয়ে সেই সময় এবং পরবর্তীতেও কম চর্চা হয়নি। আমির খান, টুইঙ্কেল খান্নার সঙ্গে এই ছবিতে দেখা মিলেছিল আমিরের ভাই ফয়জলের খানের। দাদা বলিউডের সুপারস্টার হলেও রুপোলি পর্দায় কেরিয়ার গড়তে ব্যর্থ হন ফয়জল খান। আর এবার বলিউড সম্পর্ক বিস্ফোরক দাবি আমির অনুজের। পরিচালক-প্রযোজক করণ জোহরের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনলেন ফয়জল খান।
বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে ফয়জল খান বলেন, ‘যদি তোমার কাজ না চলে,ছবি ফ্লপ হয় তাহলে ওঁরা তোমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে না।এমনকি তোমার দিকে ফিরেও তাকাবে না। আমি নিজে ভুক্তভোগী। আমার দাদার ৫০তম জন্মদিনের পার্টিতে আমার সঙ্গে এই দুর্ব্যবহার হয়েছে, আমাকে নীচু করা হয়েছে। আমি তার নাম বলতে চাই না। কিন্তু করণ জোহর আমার সঙ্গে অদ্ভূত আচরণ করে। ও আমাকে নীচু করবার চেষ্টা করে। আমাকে অপমান করে যখন আমি একজনের সঙ্গে কথা বলবার চেষ্টা করছিলাম, আমাকে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে না দেয়নি করণ জোহর। এইরকম বহু ঘটনা আমার সঙ্গে ঘটেছে’।
ফয়জল বলেন, মেলার পর অন্তত তাঁর অভিনয় দেখে ফিল্মমেকাররা তাঁকে কাজের অফার দেবেন। কিন্তু তাঁকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও আউটসাইডারদের পক্ষে বলিউডে জায়গা তৈরি করা একেবারে অসম্ভব সেটা মানতে নারাজ আমির খানের ভাই। এই প্রসঙ্গে তিনি শাহরুখ খান, অক্ষয় কুমার থেকে সাম্প্রতিককালে আয়ুষ্মান খুরানার উদাহরণ দেন। যদিও স্টারকিডদের কাছে সুযোগ অনেক বেশি থাকে তা মেনে নিয়েছেন ফয়জল খান। তিনি বলেন, ‘দিনের শেষে তুমি ইন্ডাস্ট্রিতে ব্রেক নিশ্চয় পাবে যদি তোমার বাবা কোনও বড় তারকা কিংবা পরিচালক হন। উনি কয়েকটা ফোন করলেই তোমার কাজের সুযোগ আসবে, হয়ত সেটাও দরকার পরে না। কিন্তু সফল হতে গেলে তোমাকে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করতে হবে। আর এই সফল হওয়ার কোনও বাঁধাধরা ফর্মুলা নেই। তবে ইন্ডাস্ট্রির ইনসাইডারদের ব্যর্থতার তালিকা আইডসাইডারদের থেকে লম্বা কারণ তাঁরা সুযোগ বেশি পায়’।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই বলিউডে ইনসাইডার-আউটসাইডার বিতর্ক তুঙ্গে। বিশেষত কঙ্গনা রানাওয়াত এই প্রসঙ্গে করণ জোহর, আদিত্য চোপড়াদের বিরুদ্ধে সরাসরি বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছে। আর এই বিতর্কের চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রোষের মুখে ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় অংশ। বলিউডকে বয়কটের ডাক দিয়েছে সুশান্ত ভক্তদের অধিকাংশই। সড়ক-২ এর ট্রেলারে রেকর্ড ডিজলাইক থেকে শুরু করে টুইটারে করণ জোহর, আলিয়া, সোনম, সোনাক্ষীদের বিরুদ্ধে উপচে পড়া ক্ষোভ এরই প্রতিফলন। আর সেই ক্ষোভের আগুনে ফয়জল খানের মন্তব্য আরও কিছুটা ঘি ঢালল তা বলাই বহুল্য।