কফি উইথ করণ সিজন ৮ এর নতুন পর্বে এসেছিলেন অজয় দেবগন এবং রোহিত শেট্টি। সেখানেই অজয় দেবগন কথা বললেন স্বজনপোষণ নিয়ে। জানালেন এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার জন্য তাঁদের, তাঁদের বাবাদের কী কী করতে হয়েছে। বাদ যাননি সিংঘমের পরিচালক রোহিত শেট্টিও। তাঁরা দুজনই এদিন এসছিলেন করণের কফির আড্ডায়। এদিন কথায় কথায় অজয় নেপোটিজম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, 'আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা কথা দেখা যায়, নেপোটিজমের মতো শব্দও দেখা যায়। কিন্তু মানুষ এটা বোঝে না যে আমাদের প্রজন্ম ভীষণ কঠোর পরিশ্রম করেছে। পরিশ্রম করার পরই তাঁরা এই জায়গায় পৌঁছেছে। এটা সহজ নয়।'
নেপোটিজম নিয়ে কী বললেন অজয়?
অজয় তাঁর বক্তব্যে জানান 'আমি মানুষকে সর্বস্বান্ত হতে দেখেছি।' এরপর তিনি নেপোটিজমের প্রসঙ্গে বলেন, '৩০-৪০ বছর পেরিয়ে যায় স্টেবল হতে, পরিচিতি পেতে। আপনি এই ইন্ডাস্ট্রির হন বা না হন আপনাকে পরিশ্রম করতেই হবে। আমরা এখনও পরিশ্রম করে চলেছি। আমার দুটো গোঁড়ালি ভাঙা, তবুও মানুষ সেই কঠোর পরিশ্রম দেখবে না। রোহিত যখন এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসে তখন ওর কাছে পর্যাপ্ত টাকা ছিল না খাবার খাওয়ার জন্য।'
আরও পড়ুন: 'ডাঙ্কি যখন টাকা খরচ করে দেখব তখন...', প্রধান কাবুলিওয়ালা মুক্তির আগেই বিস্ফোরক অঙ্কুশ, লিখলেন কী?
প্রসঙ্গত অজয় দেবগনের বাবা বিরু দেবগন একজন জনপ্রিয় স্টান্ট ডিরেক্টর ছিলেন। মাত্র তেরো বছর বয়সে তিনি তাঁর পঞ্জাবের বাড়ি থেকে পাকিয়ে আসেন মুম্বই। বিনা টিকিটে ট্রেনে চড়ার জন্য তাঁকে জেলে পর্যন্ত যেতে হয়েছিল। পরে তিনি গাড়ি ধোয়ার কাজ পান। সেই গাড়ি পরিষ্কার করে তিনি সেখানেই শুয়ে পড়তেন। রাতের পর রাত অভুক্ত থাকতেন। এরপর ছুতোরের কাজ শুরু করেন। পরে তিনি জড়িয়ে পড়েন গুন্ডাদের দলে। সেখান থেকে তাঁকে পরিচালক রবি খান্না তুলে এনে স্টান্ট ডিরেক্টর বানান। কেবল অজয় নয়, রোহিত শেট্টির বাবাও ছিলেন একজন স্টান্টম্যান। পরে তিনি সত্তরের দশকে অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার এবং অভিনেতা হিসেবে কাজ করেন। রোহিতের মাও স্টান্ট করতেন।