মর্টগেজ রয়েছেন সানি দেওলের সাধের সানি ভিলা! ব্যাঙ্ক অফ বারোদার কাছ থেকে এই বাংলো বন্ধক রেখে ৫৬ কোটির ঋণ নিয়েছিলেন তারকা। কিন্তু ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেক কিস্তি মেটাতে না-পারায় রবিবার সেই বাড়িটির ই-অকশনের নোটিশ জারি করেছিল ব্যাঙ্ক। গদর ২-এর বাঁধভাঙা সাফল্যের মাঝেই এই খবর ঘিরে হইচই কাণ্ড সংবাদমধ্যমে। যদিও চব্বিশ কাটতে না কাটতেই সংশোধনী জারি করে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর রটে যায়, দুঃসময়ে সানির পাশে দাঁড়িতে এগিয়ে এসেছেন অক্ষয় কুমার। আরও পড়ুন- নিলামে উঠছে না সানির জুহুর বাংলো! ৫৬ কোটির ঋণ, তবু নোটিশ প্রত্যাহার ব্যাঙ্কের
জুহুর যে বাংলো বন্ধক রেখেছিলেন সানি তা ছাড়াতে সানি দেওলকে আর্থিক সহায়তা করেছেন ‘ওএমজি ২’ তারকা। যদিও এই খবর এক্কেবারে 'ভুয়ো এবং ভিত্তিহীন' হিন্দুস্তান টাইমসকে তা নিশ্চিত করেছেন অক্ষয়ের মুখপাত্র। এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ঋণের বোঝা সানির কাঁধ থেকে সরাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অক্ষয়। ৫৬ কোটির দেনার একটা বড় অংশ নাকি চুকিয়ে দিয়েছেন খিলাড়ি কুমার। সেখানে এমনও দাবি করা হয়েছিল লোনের টাকার ৩০-৪০ কোটিই নাকি মেটাবেন অক্ষয়। আর সেই টাকাটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শোধ দিয়ে দেবেন সানি দেওল। যদিও সেই সূত্রের দাবি অস্বীকার করেছেন অক্ষয়ের মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘এই ধরণের সব খবর একদম ভুয়ো, এর কোনও সত্যতা নেই’।
বকেয়া টাকা পুনরুদ্ধারের জন্য সানির জুহুর বাংলো বিক্রি করা হচ্ছিল কিন্তু হঠাৎ করেই রবিবারের জারি করা নোটিশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়! কিন্তু কেন সানির বাংলোর নিলামি করবে না ব্যাঙ্ক? বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ই-অকশন নোটিশে সংশোধনী- অজয় সিং দেওল ওরফে সানি দেওলের যে সম্পত্তি নিলামে তোলা হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে টেকনিক্যাল কারণের জেরে’। কিন্তু কী সেই টেকনিক্যাল কারণ তা স্পষ্ট করেনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, প্রথম দশ দিনে দেশের বক্স অফিসে গদর ২ আয় দাঁড়িয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা। ট্রেড অ্যানালিস্টদের ধারণা মঙ্গল অথবা বুধবারেই ৪০০ কোটির ক্লাবে নাম লেখাবে এই ছবি। অন্যদিকে একই দিনে মুক্তি পাওয়া অক্ষয় কুমারের ওএমজি ২-এর ব্যবসাও প্রশংসনীয়। ১০ দিনে ১১৪ কোটির ব্যবসা হেঁকেছে এই ছবি।