নিজেদের রিলেশনশিপ স্টেটাস নিয়ে বরাবরই সোজাসাপটা রণিতা দাস ও সৌপ্তিক চক্রবর্তী। ‘ধন্যি মেয়ে’র সময় থেকে শুরু এই প্রেমের কাহিনি। এরপর এক দশক অতিক্রান্ত, প্রেমটা জমিয়েই করছিলেন দুজনে। তবে আচমকাই নাকি ছন্দপতন। টলিপাড়ায় জোর ফিসফিসানি রণিতা আর সৌপ্তিকের সুখের সংসারে নাকি ঢুকে পড়েছেন তৃতীয় ব্যক্তি। টলিপাড়ার এক প্রথমসারির নায়িকার সঙ্গে সৌপ্তিকের ঘনিষ্ঠতার জেরে দূরত্ব তৈরি হয়েছে রণিতা-সৌপ্তিকের। কাজের সূত্রেই ওই নায়িকার সঙ্গে পরিচয় সৌপ্তিকের।
পরিচালক সৌপ্তিকের সঙ্গে অন্য নায়িকার ঘনিষ্ঠতার গুঞ্জন নেহাত রটনা নাকি সত্যিই সৌপ্তিক নতুন প্রেমে পড়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা যোগাযোগ করেছিল সৌপ্তিকের সঙ্গে। নিজের আসন্ন সিরিজের প্রচারে বেজায় ব্যস্ত অভিনেতা। প্রশ্ন শুনেই হো হো করে হেসে উঠলেন। সৌপ্তিক বললেন, ‘এই নিয়ে আমার সত্য়ি কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। আসলে এই ব্যাপারটা পুরোটাই এনক্রিপটেড’। কিছুটা থেমে সৌপ্তিকের সংযোজন, ‘কুছ তো লোক কহেঙ্গে, আগেও অনেকবার এমন কথা শুনেছি। বাকিটা সময় বলবে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল'।
আপতত সৌপ্তিক-রণিতা দুজনেই ব্যস্ত তাঁদের আসন্ন সিরিজ ‘এনক্রিপ্টেড’-এর প্রচারে। এই সিরিজে একদম নতুন ভূমিকায় রয়েছেন রণিতা। ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসারের দায়িত্ব সামলেছেন অভিনেত্রী। অন্যদিকে পরিচালনার দায়িত্বভার সামলেছেন সৌপ্তিক। আগামী ২৮শে জুন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম Klikk-এ মুক্তি পাবে এই সিরিজ, যা যৌথভাবে প্রযোজনাও করেছেন সৌপ্তিক-রণিতা।
নতুন ভূমিকায় রণিতা কেমন? সৌপ্তিক বললেন, ‘আমরা পরস্পরকে খুব ভালো বুঝি। আমাদের আন্ডারস্যান্ডিং খুব ভালো। নতুন ভূমিকাতেও দারুণ কাজ করেছে রণিতা’।
১২ বছরের সম্পর্ক কি এ বার পরিণতি পাবে? মুচকি হেসে সৌপ্তিকের জবাব, ‘এই মুহূর্তে আমরা দুজনেই ব্যবসা নিয়ে বেশি ভাবছি। প্রোডাকশন হাউজটা নিয়ে অনেক প্ল্যানিং রয়েছে, একদম নতুন একটা হাউজ। পরপর অনেকগুলো কাজ রয়েছে, আমরা কেরিয়ারেই এখন বেশি কনসেনট্রেট করছি’।
ব্রেক-আপের খবরকে গুঞ্জন বলে উড়িয়ে দিলেও রণিতার সঙ্গে নিজের সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে এখনই কিছু খোলসা করতে রাজি নন সৌপ্তিক। এই মুহূর্তে কাজেই ফোকাস করছেন তিনি।