রাত পোহালেই দোল। চারিদিক রঙে রঙে রেঙে উঠবে। এই বিশেষ দিনটিতে কী প্ল্যান অঙ্গনার? কীভাবে কাটাবেন দোল? ছোটবেলাতেই বা কী করতেন তিনি এই দিনটিতে? হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কী জানালেন অভিনেত্রী?
এবারের দোলে কী পরিকল্পনা?
অঙ্গনা: গত কয়েক মাস ধরে খুব চাপ গিয়েছে। তুমি আসে পাশে থাকলের শ্যুটিংয়ের পাশাপাশি অফ ডেগুলোতে পারিয়ার প্রমোশন থাকত। তাই বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা করার একদম সুযোগ হয়নি। তাই এদিন ওদের সবাইকে বাড়িতে ডেকেছি। ওই আড্ডা দেব।
ছোটবেলায় কীভাবে কাটাতেন দোলের দিনটি?
অঙ্গনা: আমরা আসানসোল চলে যেতাম। ওখানেই দোল খেলতাম। পাড়ার সবাই মিলে কালো বাঁদুরে রং দিয়ে খেলা হতো। তবে এখন ছোটবেলার দোল বলতেই একটা দিনের কথা খুব মনে পড়ে। আমি আর মা ছাদে বসে দোল খেলছিলাম। ওই বেলুন হয় না যাতে জল ভরে ছুঁড়ে খেলা যায়। ওটাই খেলছিলাম। আমি একটা বেলুন নিয়ে ছাদ থেকে নিচে ছুঁড়েছিলাম আর সেটা এসে একজন লোকের মাথায়। ব্যাস উনি যেই তাকিয়েছেন আমি তো বসে পড়েছি। আর উনি মাকে দেখতে পেয়েছেন, আর ভেবেছেন মাই ছুঁড়েছে বেলুনটা। সে কী অবস্থা। তারপর সরি টরি বলে ব্যাপারটা মেটাই। তবে এখন আর তেমন দোল কোথায় খেলা হয়?
আরও পড়ুন: 'চরিত্রটা ডার্ক...' এবার খলনায়কের ভূমিকায় ঋত্বিক! মিঠুনের সঙ্গে মিলে বাবা-ছেলের কোন গল্প বলবেন?
আরও পড়ুন: লজিক্যালি নয়, ম্যাজিক্যালি 'অতি উত্তম' সৃজিতের ছবি!
তুমি আসে পাশের সেটে দোল খেলা হচ্ছে না?
অঙ্গনা: এখানে তো এখন দোলের বিশেষ পর্বের শ্যুটিং চলছে। কিন্তু আলাদা করে খেলা হবে না।
আর এখন তো কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে, আপনার সঙ্গে রোহনদার (ভট্টাচার্য) বিশেষ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে?
অঙ্গনা: না না, ও খালি আমার খুব ভালো বন্ধু। ভীষণই ভালো বন্ধু। তার বেশি কিছু নয়।
আরও পড়ুন: ডোনার ভয়ে বাড়িতে জুবুথুবু সৌরভ! দাদাগিরিতে ভয়ে ভয়ে কেন বললেন, 'দাদাদের বলার দিন চলে গেছে...'?
আরও পড়ুন: অ্যানিম্যাল বিতর্কে সন্দীপের পাশেই সৃজিত? বললেন, 'ছবিতে কী কতটা থাকবে সেটা পরিচালকের...'
প্রসঙ্গত অঙ্গনা রায়কে পারিয়া ছবিতে শেষবার দেখা গিয়েছে। সেখানে তাঁর বিপরীতে ছিলেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। বক্স অফিসে দারুণ সাড়া পেয়েছে তথাগত ভট্টাচার্য পরিচালিত এই ছবিটি। এছাড়া অঙ্গনাকে বর্তমানে নিয়মিত স্টার জলসার তুমি আসে পাশে ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে রোহন ভট্টাচার্যর সঙ্গে।