একটা দীর্ঘ সময়ের ব্যবধান। আবার বড় পর্দায় স্বমহিমায় ধরা দিলেন উত্তম কুমার। মুক্তি পেল অতি উত্তম। এখানে আবারও হেঁটে চলে বেড়াতে, সংলাপ বলতে দেখা যাবে উত্তম কুমারকে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের এটি অন্যতম ড্রিম প্রজেক্ট বলা চলে। কিন্তু এই ছবি বানাতে ঠিক কোন কোন সমস্যায় পড়েছিলেন পরিচালক?
অতি উত্তম বানাতে কোন কোন সমস্যায় পড়েন সৃজিত?
এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পরিচালক জানান, 'আমি যখন আমার ভাবনার কথা প্রথম জানিয়েছিলাম তখন অনেকেই আমার উপর হেসেছিল। কিন্তু আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম আমি ছবিটা করবই। আমরা যখন শ্যুটিং করেছি তখন পাশে দুটো ল্যাপটপ খোলা থাকত, সেখানে অনলাইনে এডিট করতে করতে যেতাম আমরা।' এদিন সৃজিত আরও জানান তিনি মোট ৫২ বার স্ক্রিপ্ট লিখেছেন অতি উত্তমের!
অতি উত্তম বানাতে ৭ বছর!
সৃজিত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন ২০১৭ সাল থেকে তিনি পরিকল্পনা করেছেন এই ছবির। বিভিন্ন জায়গা থেকে উত্তম কুমারের নানা ছবির সত্ব জোগাড় করেছেন। এই বিষয়ে সৃজিত জানান, 'এই প্রথম কোনও ছবির প্রধান চরিত্রকে সম্পূর্ণ ভাবে পুরনো ফুটেজ কেটে কেটে তৈরি করা হয়েছে। ফলে এই ছবি বানাতে সময় তো লাগতই।'
আরও পড়ুন: বয়স মাত্র দেড়, এখনই বাংলায় কথা বলে বিপাশার মেয়ে! আলানার সাধে এসে কী করল ছোট্ট দেবী?
উত্তম কুমারকে নিয়ে ছবি, বিষয়টা রিস্কের ছিল না?
উত্তম কুমার ৮-৮০ সকল বাঙালির কাছে এক আবেগের নাম। ফলে তাঁকে নিয়ে এই সময় দাঁড়িয়ে ছবি বানানো যে বেশ রিস্কের বিষয় সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই বিষয়টা কি সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে ভাবিয়েছিল? এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, 'আমি আমার নিজের ভালো লাগার জায়গা থেকে ছবি বানাই। দর্শকদের কথা ভেবে নয়। দর্শকদের পালস যে আমি খুব বুঝি সেটা নয়। কিন্তু নিজের চাহিদা, পছন্দ বুঝি। সেটা কখনও দর্শকদের সঙ্গে মেলে, কখনও না। সে ঠিক আছে। আমি সেটা নিয়ে কারও সঙ্গে ঝগড়া করব না। কিন্তু তেমন ভাবেই আমি আমার গল্পে কী দেখাব সেটা আমিই ঠিক করব।' এরপর তিনি এই বিষয়ে আরও বলেন, 'সন্দীপ রেড্ডি ভাঙা অ্যানিম্যাল ছবি নিয়ে অনেক সাফাই দিয়েছেন। কিন্তু কেন দেবেন? ছবিতে কতটা কী দেখানো হবে সেটা তো যিনি গল্প বলছেন তাঁর ব্যাপার। তাই না? তাই যে ছবি উনি বানিয়েছেন যা দেখে সবার ঘুম উড়েছে সেটার জন্য তিনি যে প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন সেটা উপভোগ করা উচিত। উনি রাগ করছেন কেন?'