Arijit Singh: ‘আমরা বাঁচাতে পারিনি…’, মা'কে স্মরণ করে মঞ্চে আবেগঘন অরিজিৎ, দেখুন ভিডিয়ো

Arijit Singh: মায়ের মৃত্যুর পর প্রথমবার কলকাতায় গান গাইলেন অরিজিৎ। কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানালেন শহরবাসীকে।

মায়ের কথা মনে করে ইমোশ্যানাল অরিজিৎ 

শনিবার শহর কলকাতা সাক্ষী থাকল ঐতিহাসিক সন্ধ্যার। প্রায় তিন বছর পর তিলোত্তমায় অরিজিৎ সিং-এর কনসার্ট। টিকিট মূল্য ছিল বেজায় চড়া! কিন্তু তাতে কী! প্রিয় শিল্পীর গান শুনতে অ্যাকোয়াটিকায় ছিল অরিজিৎ ভক্তদের গিজগিজে ভিড়। এদিন গানে-কথায় কলকাতাবাসীর মন জিতলেন গায়ক। গেরুয়া বিতর্কের জবাব, রূপমের সঙ্গে যুগলবন্দি—এমন কত স্মরণীয় মুহূর্ত তৈরি হল মঞ্চে।

অরিজিতেরে আর পাঁচটা শো-এর একদম অন্যরকম ছিল এই কনসার্ট। অরিজিত নিজের মুখেই বললেন, ‘মনে হচ্ছে বাড়ির পাশে গান গাইছি’। গিটার হাতে একের পর এক গান গাইছেন অরিজিৎ। বাংলা ব্যান্ডের গান থেকে শুরু করে মান্না দে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান, তাঁর গায়েকিতে বুঁদ দর্শক। এতকিছুর মাঝেও একটা শূন্যতা ঘিরে ধরেছিল অরিজিৎ-কে। মনে জমে ওঠা সেই ভাবনা গোপন রাখেননি তিনি। এই প্রথম কলকাতায় অরিজিৎ-এর কনসার্ট, অথচ তাঁর মা নেই! মায়ের মৃত্যুর পর প্রিয় শহরে গান গাইতে গিয়ে পুরোনো স্মৃতি বড্ড মনে পড়ছিল তাঁর।

২০২১ সালে কোভিডে মা-কে অরিজিৎ। কলকাতারই এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অদিতি সিং, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এদিন অরিজিৎ-কে বলতে শোনা গেল, ‘আমি কলকাতায় এই প্রথম প্রোগাম করছি, মা নেই! এর আগে যখন প্রোগাম করেছিলাম মা ছিল। আমাকে না অনেকে সাহায্য করেছেন… থ্যাঙ্ক ইউ, ছোট থেকে বড়…অনেকে সাহায্য করেছে। আমি সবার সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। আমরা বাঁচাতে পারিনি মানুষটাকে….যে যার সময়মতো সবাই চলে যায়। ধন্যবাদ, সেই সময় যারা কলকাতাতে পাশে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন’।

২০২১ সালের মে মাসে মাত্র ৫৭ বছর বয়সেই প্রয়াত হন অরিজিৎ সিং-এর মা। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর জিয়াগঞ্জ থেকে প্রথমে বহরমপুর মাতৃসদনে ভর্তি ছিলেন গায়কের মা,পরবর্তীতে ঢাকুরিয়া আমরিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেইসময় তাঁর মায়ের চিকিৎসায় বিরল রক্তের (O নেগেটিভ) প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে পাশে দাঁড়িয়েছিল কলকাতাবাসী। কোভিড-মুক্ত হলেও শেষমেশ মাল্টি অর্গান ফেলিওরের জেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অরিজিৎ-এর মা।

মাতৃহারা সন্তানের যন্ত্রণাই রবিবার ঝরে পড়ল অরিজিতের কন্ঠে, তবে এই শহরের মানুষদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না অরিজিৎ সিং।