ছিপছিপে রোগা চেহরা, পরনে হালকা নীল রঙের ফম্যাল শার্ট-আজ থেকে ১৬ বছর আগে এই অবতারেই এমটিভি-র জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো রোডিজে অংশ নিতে পৌঁছেছিলেন আয়ুষ্মান খুরানা। ২০ বছর বয়সী আয়ুষ্মান তখন পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার ছাত্র। তারপর দেখতে দেখতে অনেকটা পথ পার করে ফেলেছেন আয়ুষ্মান। রেডিও জকি, সঞ্চালক, গায়ক থেকে এখন জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেতা। বলিউডের আজকের জেনারেশনের অন্যতম ট্যালেন্টেড অভিনেতা হিসাবেই ধরা হয় তাকে। কিন্তু কেরিয়ারের শুরুতেই আয়ুষ্মানের অভিনয়ে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন রঘু, রোডিজের প্রাক্তন বিচারক।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় আয়ুষ্মানের রোডিজ অডিশনের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে,যেখানে রঘু রাম পরিচিত ভঙ্গিতে রোস্ট করছেন আয়ুষ্মানকে। এই ভিডিয়ো দেখে ফ্যানেরা একটা কথাই বলছে 'সময় দ্রুত পরিবর্তনশীল'। ভিডিয়োয় আয়ুষ্মানকে বলতে শোনা গিয়েছে 'আমার বিশেষত্ব হল আমি বন্ধু পাতাতে ওস্তাদ, ওটা আমার হবি বলা যায়'। কেন রোডিজ শোয়ে তাঁকে নির্বাচিত করা উচিত? প্রশ্ন শুনে অকপটভাবে আয়ুষ্মান জানায় তাঁর এন্টারটেনমেন্ট ফ্যাক্টরের জন্য। কিন্তু আয়ুষ্মানের মিষ্টি স্বভাবে মন গলেনি রঘু রামের। বরং কড়া ভাষায় তিনি আয়ুষ্মানকে আক্রমণ করে বলেন-'তোমার এই চার্ম, হাসি কিংবা কথা বলার ভঙ্গি সবটাই মেকি, এটা তুমি নও। তুমি কোনটা? ' আয়ুষ্মান জবাবে জানান, আমার মধ্যে এই সব গুণগুলো আছে কারণ আমি অভিনেতা। একথা শুনে রঘুর সটান উত্তর 'তোমার অভিনয়ের প্রতি আমার কোনও আগ্রহ নেই, এটা রিয়ালিটি শো..এখানে তুমি কোনও চরিত্রে অভিনয় করবে না, তুমি আয়ুষ্মান'। কিন্তু আয়ুষ্মান জোর দিয়ে জানায় এটাই তাঁর রিয়েল লাইফ ব্যক্তিত্ব, শুনে রঘুর মন্তব্য 'তুমি বাস্তবে সত্যি এমন হলে ভগবান তোমায় রক্ষা করুক!'
যদিও ২০০৪ সালে রোডিজের দ্বিতীয় সিজনে শুধু মূল পর্বে নির্বাচিত হননি আয়ুষ্মান, এই রিয়ালিটি শো জিতেও নিয়েছিলেন তিনি।
২০১২ সালে ভিকি ডোনার ছবির সঙ্গে রূপোলি সফর শুরু করেন আয়ু্ষ্মান। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। গত বছর অন্ধাধুন ছবিতে দুর্ধষ অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার জেতেন আয়ুষ্মান। বক্স অফিসে তাঁর শেষ ছবি ছিল 'শুভ মঙ্গল জ্যায়াদা সাবধান'। সমকামিতার প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ছবির জন্য ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন আয়ুষ্মান।