শুধু অসম বয়সের প্রেম বললেও ভুল হবে, জীবনের দ্বিতীয়ার্ধে এসে একে-অপরের প্রেমে পড়েছিলেন শোভন আর বৈশাখী। দুজনেই বেরিয়ে এসেছেন ‘ব্যর্থ সম্পর্ক’ থেকে। ইতিমধ্যেই মনোজিতের থেকে ডিভোর্স পেয়ে গিয়েছেন বৈশাখী। যদিও আদালতে বিচারাধীন শোভন আর রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ডিভোর্সের মামলা।
প্রেম বা সহবাস হয়েছে অনেক পরে। তার আগে ভালো বন্ধু হয়েছিলেন শোভন আর বৈশাখী। আলাপের প্রথম দিনগুলো কেমন ছিল? সেলেব দুনিয়াকে বৈশাখী জানিয়েছিলেন, ‘ওর থেকে উপকৃত হয়েছে এরকম মানুষের সংখ্যা বহু। কিন্তু ওর কারণে ভুগতে হয়েছে, এমন মানুষ শুধু আমি। আমি যা যা ভালোবাসতাম তা আমাকে একে একে ছাড়তে হয়েছে। কিন্তু আমি কোনওদিন গিয়ে তা নিয়ে নালিশ করিনি।’
‘অনেকেই বলে এই বন্ধু বন্ধু বলতেন, তখন তাহলে কি মিথ্যে বলেছেন! ব্যাপারটা মোটেও সেরকম না। স্বামী-স্ত্রীও তো একে-অপরের বন্ধু। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আমার মেয়ে। অনেক রাজনীতি নেতাকেই বলতে দেখবেন, ও তো আমার বোন। বা সম্পর্ককে দিচ্ছেন ভাই-বোনের নাম। কিন্তু আমি আর শোভন কিন্তু প্রথম থেকেই পরিষ্কার ছিলাম একে-অপরের বন্ধুত্ব নিয়ে।’, আরও বলেন বৈশাখী। আরও পড়ুন: ‘বুঝলাম ওর আমাকে দরকার…!’, রুক্মিণী চাননি অভিনেত্রী হতে, রাজি করান দেব
শোভনের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’-এর প্রথম দিনগুলো বলতে গিয়ে বৈশাখী জানান, রাত ১-২টো অবধি কথা বলতেন তাঁরা ফোনে। কবিতা-গান নিয়ে চর্চা চলত দুজনের। বরং কথাতে কখনও থাকত না রাজনীতির প্রসঙ্গ। ২০০৮ সালে প্রথম আলাপ। প্রথমে হালকা টক্কর, তারপর বন্ধুত্ব, আর এখন সহবাস। দীর্ঘ ১৫ বছরের আলাপ দুজনের।
চান একে-অপরকে বিয়ে করতে। সম্পর্ককে নাম দিতে। যদিও স্বামী-স্ত্রী পরিচয় যে মন থেকে আসে, তা নিয়ে একেবারেই সন্দিহান নন শোভন আর বৈশাখী। একটা সই-কে সেভাবে দাম দেন না কেউই।
বৈশাখী জানান, ডিভোর্সের পরই শোভনের জন্যই সিঁদুর পরেন তিনি। গলায় দেন মঙ্গলসূত্র। এমনকী সাজেনও ভালোবাসার মানুষটার জন্যই।
রাজনীতির ময়দান থেকে এখন বেশ দূরেই আছেন শোভন। অধ্যাপিকার পদ থেকেও সরে এসেছে বৈশাখী। মাঝে দুজনে মিলে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। তবে কয়েকমাসের ভিতরেই পদ্ম-দল ছেড়ে দেন। তবে অনেকেরই বিশ্বাস, খুব জলদিই ফের তৃণমূলে যোগ দেবেন, হয়তো লোকসভা ভোটের আগে-আগেই। মমতার পাশে আবার দেখা যাবে তাঁর প্রাণের-প্রিয় কাননকে।