বিগত কয়েকদিন ধরেই খবরে রয়েছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী তানজিন তিশা। কিছুদিন আগে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। জানা গিয়েছিল, বেশিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেছেন। তারপর থেকে রটে যায় আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন তিশা। আর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এক সাক্ষাৎকার চলাকালীনই মেজাজ হারান অভিনেত্রী। সাংবাদিকের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তাঁকে দিয়ে ফেলেন ‘দেখে নেওয়া’র হুমকি।
শুরু হয় প্রবল সমালোচনা। বাংলাদেশের সাংবাদিকরাই চলে যান তিশার বিপক্ষে। অবশেষে ক্ষমা চান তানজিন তিশা। বলেন, ‘এক সাংবাদিক ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। এমন কিছু কথা বলে ফেলি যা ইনটেনশনাল ছিল না। আমার অনাকাঙ্খিত কথায় আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’
চলতি সপ্তাহে বুধবার রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিশা। এরপর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের থেকে দাবি করা হয়, অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কতে মনোমালিন্যের জেরে আত্মহত্যা করার জন্য ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন। যদিও তিশা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে জানান, ফুড পয়জনিং হয়েছিল তাঁর। সেই সঙ্গে মানসিক চাপে ছিলেন। তাই অন্য ওষুধের সঙ্গে স্লিপিং পিলও খান।
নিজের আত্মহত্যার ‘ভুয়ো’ খবর নিয়ে লোকের ভুল ভাঙাতে, ফেসবুক লাইভেও এসেছিলেন। সেখানে বলেন, ‘আমাকে প্রায়ই বিভিন্ন রকম মেডিসিন খেতে হয়। সঙ্গে স্লিপিং পিলও খেতে হয়। হয়তো ঘুমাব বলে এমন হয়েছে, স্লিপিং পিল একটার জায়গায় পরিমাণ বেশি হয়ে গেছে। আমি খেয়াল করিনি স্লিপিং পিলের মাত্রা বেশি ছিল। যেটা আমাকে প্রেসক্রাইব করা না। সেটা খেয়েই আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমার কোনো সেন্স ছিল না।’
‘তখন দ্রুত আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার পর তারা মনে করেছিল এটা সুইসাইড। তখন আমাকে পরিবারের সকলে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ওয়াশ করা হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি হাসপাতালে।’
লাইভে এসে মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও মুখ খোলেন। বলেন, ‘প্রেম হোক বা না হোক, এটা ব্যক্তিগত বিষয়। যেদিন আমার জনসমক্ষে বলার ইচ্ছা হবে এর সঙ্গে আমার প্রেম বা বিয়ে করেছি, সেদিনই আমি বলব। এখন যদি আপনারা সমালোচনা করে ভালো থাকেন, তাহলে আমার কোনও আপত্তি নেই।’