গত সপ্তাহে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন সারেগামাপা খ্যাত বাংলাদেশি গায়ক নোবেল। তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বাংলাদেশের রকস্টার জেমসকে উল্লেখ করে অশ্লীল পোস্ট, সময় টিভির সাংবাদিক আল কাছিরকে মোবাইল ফোনে অপহরণের হুমকি-সহ একাধিক বিতর্কে নাম জড়িয়েছে মাঈনুল আহসান নোবেলের। তাঁর নামে ঢাকার কলাবাগান থানায় জেনারেল ডায়েরিও করা হয়। তারপরই সুর নরম হয় নোবেলের। ক্ষমা চান সাংবাদিকদের কাছে।
ফেসবুকে নোবেল লেখেন, ‘রোড এক্সিডেন্টের পর আমাকে কেউ একবার কল করে খবর নিল না। নিজের আবেগ আসলে ধরে রাখতে পারি নাই। আমি মাত্র ২৪ বছর বয়সী একজন তরুণ শিল্পী। আমিও তো দেশের জন্য সুনাম কুড়িছে এনেছি।’
নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়ে লেখেন, ‘আমি না হয় ভুল করব। সেগুলো ভুল ধরে দেওয়ার দায়িত্ব তো আপনাদের। সেখানে অনেকেই আমাকে প্রতিনিয়ত হেয় করছেন। তাই আসলে রাগ সামলাতে পারিনি। আমি সকল সাংবাদিক ভাইদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কথা দিচ্ছি পরবর্তীতে এরকম ভুল আর হবে না... সবাইকে ভালোবাসা।’
এর আগে জনৈক সাংবাদিককে তুলে নিয়ে আসার হুমকি দিয়ে নোবেল তাঁর ফেসবুকে লিখেছিলেন ‘পৃথিবীর সমস্ত সাংবাদিকদের ওপেন চ্যালেঞ্জ! আমার একটা ‘চুল’ ছিড়ে দেখাও! প্লিজ, অনেক দিন ‘চুল’ কাটি নাই।’ পুলিশে অভিযোগ দায়ের নিয়েও প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন নোবেল। তিনি লেখেন- ‘আমি জিডি নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত নই’। অপর এক পোস্টে তাঁর আরও দাবি, ‘আমি গায়ক! গান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। নকল ভদ্রতা বিক্রি করে নয়। জ্বী! জন্মগত ভাবে আমি বেয়াদব!’ যদিও বর্তমানে এই সব পোস্টটি মুছে ফেলা হয়েছে।