সদ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন আশা ভোঁসলে। নিজের বই ‘বেস্ট অফ আশা’ লঞ্চ করতে ছিল এই সাক্ষাৎ। বুধবার মুম্বইয়ের শাহিয়াদ্রি গেস্ট হাউসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে প্রশংসিত গায়িকা এবং মহারাষ্ট্র ভূষণ আশা ভোঁসলের ফটোবায়োগ্রাফি ‘বেস্ট অফ আশা’ প্রকাশিত হয়েছে।
অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন আশা
এ দিন সাক্ষাতের সময় ফ্লোরাল ক্রিম রঙের শাড়ি পরেছিলেন আশা ভোঁসলে। সাক্ষাতের পর ১৯৬১ সালে ‘হাম দোনো’ ফিল্ম থেকে তাঁর গাওয়া গান ‘আভি না যাও ছোড় কে’ গেয়ে শুনিয়েছেন। বইটি প্রকাশ করেছে ভ্যালুয়েবল গ্রুপ। আশাতাইয়ের গাওয়ার ধরন, তাঁর গান, তাঁর সমগ্র জীবনযাত্রা এই বইটিতে প্রকাশিত ছবিতে ধরা পড়েছে। বই প্রকাশের পর আশা ভোঁসলে এবং অমিত শাহকে কিছুক্ষণ আলাপচারিতা সারতে দেখা গিয়েছে। আরও পড়ুন: মা-বাবা বলিউডের নামী মুখ, বড় মেয়েটির ফিগারের চর্চা সর্বত্র, ছবিতে থাকা ছোটজন আবার উঠতি মুখ, চিনতে পারছেন
আশা অমিত শাহকে উন্মোচনের জন্য একটি কভারে মোড়ানো তাঁর বইটি হাতে দেন। নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করার জন্য অমিত শাহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বর্ষীয়ান গায়িকা। এই সময় উপস্থিত ছিলেন মুম্বইয়ের বিজেপির সভাপতি বিধায়ক অ্যাডভোকেট আশীষ শেলারের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রতিমা শেলার। আরও উপস্থিত ছিলেন জানাই ভোঁসলে, আনন্দ ভোঁসলে, ভ্যালুয়েবল গ্রুপের অমেয়া হেতে এবং অঙ্কিত হেতে, জীবন গণির প্রসাদ মহাদকার এবং ডিজাইনার নূতন আজগাঁওকর যিনি সুন্দরভাবে বইটি তৈরি করেছেন।
আশার নাতনি জানাই ভোঁসলেও ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করেছেন। একটি ছবিতে অমিত শাহ এবং জানাই একে অপরকে হাত জোড় করে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গিয়েছে। ছবিতে স্যুট পরে দেখা মিলেছে জানাইয়ের। পোস্টটির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘দিন শুরু করার সেরা উপায়’।
‘বেস্ট অফ আশা’ ফটোবায়োগ্রাফি সম্পর্কে
সংবাদ সংস্থা এএনআই অনুসারে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশার সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁর ফটোবায়োগ্রাফি ‘বেস্ট অফ আশা’ উন্মোচন করেন। মুম্বইয়ের ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি এবং বিধায়ক আশিস শেলার ধারণায় এবং সূচনা করা, ‘বেস্ট অফ আশা’ হল খ্যাতিমান ফটোগ্রাফার গৌতম রাজাদক্ষর ক্লিক করা গায়িকার ছবির একটি সংকলন।
আশা ভোঁসলে সম্পর্কে
মাত্র ১০ বছর বয়সে গান গাওয়া শুরু করেছিলেন আশা ভোঁসলে। কদিন বাদেই পা রাখবেব ৯০ বছরে। তাঁর গানের জাদুতে তিনি মুগ্ধ করেছেন শ্রোতাদের। তার প্রথম ফিল্ম ট্র্যাক ছিল ‘চালা চালা নব বালা’, যা ১৯৪৩ সালের একটি মারাঠি ছবির জন্য। 'পিয়া তু আব তো আজা' এবং 'ও হাসিনা জুলফো ওয়ালি'-এর মতো ডান্স নম্বর থেকে 'দিল চিজ কেয়া হ্যায়'-এর মতো হৃদয়গ্রাহী গজল, 'তোরা মন দর্পণ কেহলয়ে'-এর মতো শাস্ত্রীয় পরিবেশনা, তিনি উপহার দিয়েছেন। বিভিন্ন ভাষায় প্রায় ১২ হাজার গানের ভাণ্ডার তাঁর রয়েছে।
পাঁচ মঙ্গেশকর ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয় আশা ভোঁসলে। লতা মঙ্গেশকর বড় ছিলেন, যিনি ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।